পাতা:মরণের ডঙ্কাবাজে - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

मङ्कg० ७६क्का राg७ জাপানী বোমারু প্লেনগুলোর চিহ্ন নেই। রাত্রিটা কেটে গিয়েছে যেন একটা দুঃস্বপ্নের মত। বেলা এখন দশটা —এখনও সে দুঃস্বপ্নের জের মেটেনি। বিনা কারণে এমন নিষ্ঠুর ধ্বংসলীলার তাণ্ডব যে চলতে পারে-তা। এর আগে, ভারতবর্ষে থাকতে বিমল কখনো ভেবেছিল ? কনসেশনের সেই সবজান্ত আমেরিকান পুলিশট বলছিল-দেখবেন ওরা ইনসেনডিয়ারি বোমা ফেলে সব চেয়ে বেশী ক্ষতি করবে। এখানে অনেক বাড়ীই কাঠের । তাতে আবার বোমার আগুন জলে নেবে। না । বালি ছডাতে হয় এক রকম কাল দিয়ে । প্ৰথম অবস্থায় বোমাটাকে বালিবোঝাই থলে দিয়ে চেপে ধরলেও আর স্পার্ক ছোটেনা-কিন্তু সে সব করে কে ? চীনা পুলিসের ডেপুটি মার্শাল বল্লেন-কিন্তু সব চেয়ে বেশী ক্ষতি হচ্ছে দেখা যাচ্ছে হাই এক্সপ্লোসিভ বোমায়। কাল সন্ধ্যা ও রাতের বোমা ফেলার দরুণ চাপেই পাড়া ও সাংহাইয়ের চ্যাং সে লীন এভিনিউতে সাত আটশো বাড়ীর চিহ্ন নেই-মানুষ মারা পড়েছে তিনশোর ওপর মেয়ে পুরুষ মিলিয়ে । জখম হয়ে হাসপাতালে গিয়েছে প্ৰায় পাঁচশো । তাদের মধ্যে অৰ্দ্ধেকের বাঁচবার আশা নেই। প্রোফেসর লি বল্লেন-আমাদের সব চেয়ে ভীষণ শত্রু যে এই বোমারু প্লেনগুলো, তা ক’দিনের ব্যাপারে আমরা বুঝতে পারছি। – তবুও তো এখনো ওরা সমবেত ভাবে আক্রমণ করেনি-করলে একশো খানা প্লেনেৱ প্ৰত্যেক প্লেনখান থেকে দুই টন বোমা ফেললে পাঁচহাজার লোক কালই মেরে ফেলতো । সবজান্ত পুলিশম্যানটী বল্লে-জাপানী বম্বারগুলো এক একখানা দু টন । ö ዓ