এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

(১৩)

অন্যান্য ভগিনী অপেক্ষা সে নিজে সাহসিকা ছিল, এজন্য সমুদ্রেতে যে একটা নদীর মুখ মিলিত ছিল, সন্তরণ দ্বারা সে সেই নদী পর্য্যন্ত যাইয়া দেখিল যে হরিদ্বর্ণ পাহাড় সকল আঙ্গুর লতাতে আচ্ছাদিত, এবং নগরস্থিত বৃহৎ এবং ক্ষুদ্র দুর্গ সকল, বিস্তারিত অরণ্যের মধ্য হইতে অল্প অল্প দেখা যাইতেছে, পক্ষীগণ মধুর স্বরে গান করিতেছে, তৎকালে সূর্য্যের উত্তাপ এমন প্রখর ছিল যে সে তাহাতে তাপিত হইয়া বারম্বার জলমধ্যে অবগাহন করিতে লাগিল, যেন তদ্দ্বারা তাহার তাপিত বদন স্নিগ্ধ হইয়া পড়ে। তৎ সংযুক্ত আর একটি ক্ষুদ্র নদীতে গমন করিয়া দেখে যে কতকগুলীন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অল্প বয়স্ক বালক স্রোতো মধ্যে বিবস্ত্র হইয়া জল ক্রীড়া করিতেছে। সে ঐ শিশু দিগকে দর্শন করিয়া তাহাদের সহিত খেলাইবার উদ্যোগ করিলে শিশু গুলীন ভয় পাইয়া পলাইয়া গেল, তাহাতে একটা কাল জন্তু তাহার নিকটে গমন করত উচ্চৈঃস্বরে চীৎকার করিতে লাগিল। সেটা কুকুর, ভেউ ভেউ করিতে ছিল। কিন্তু যাবজ্জীবন মৎস্যনারী কুকুর কখন দেখে নাই, অতএব, ও যে কুকুর সে তাহা কি প্রকারে জানিবে। বোধ হয় তৃতীয়া রাজকন্যা পূর্ব্ব দৃষ্ট এই সকল বস্তু গুলীন কখন ভুলিবে না।