এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

(১৪)

 চতুর্থ ভগিনীর পালা উপস্থিত হইলে সে সাহসহীনা প্রযুক্ত সমুদ্রের মধ্যভাগ ভিন্ন অধিক দূর যাইতে পারে নাই, তথা হইতে প্রত্যাবৃত্ত হইয়া আপন ভগিনী দিগকে বলিল, আমি সাগরের যে অংশে গিয়াছিলাম তাহা অতি রম্য স্থান, সে খান হইতে চতুর্দ্দিকস্থ দূরবর্ত্তী বস্তু সকল দৃষ্টি গোচর হয়, মস্তকের উপরি ভাগে আয়ণার ভিতর ঘণ্টার প্রতিবিম্ব যেরূপ দৃশ্যমান হইয়া থাকে আকাশকেও সেইরূপ দেখিলাম। আমি অনেকানেক জাহাজ দেখিয়াছি বটে কিন্তু তাহা অধিক দূরে ছিল বলিয়া তাহাদিগকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পক্ষীর ন্যায় দেখিয়াছি। আর একটি আশ্চর্য্য বিষয় দেখিলাম, গোটাকতক শিশুনার অর্থাৎ শুশুক লেজ নাড়িয়া ক্রীড়া করিতেঽ জল উলটীয়া কিয়দংশ শরীর দেখাইরার পরে তিলেক মধ্যে ডুবিয়াগেল। কতক গুলা তিমি মৎস্য আসিয়া নাশারন্ধ্র দ্বারা এমনি পিচকারি মারিতে লাগিল, তদ্দৃষ্টে বোধ হইল যেন শত শত ফোয়ারা হইতে জল উঠিতেছে[১]


  1. তিমি মৎস্যের একটি আশ্চর্য্য স্বভাব এই, তাহারা সময়ে সময়ে জলের উপরিভাগে উঠিয়া বায়ু ভক্ষণ করিবার নিমিত্ত নাশা রন্ধ্র দ্বারা এমনি জল সেচন করে যে দেখিলেই একটি ফোয়ারার ন্যায় বোধ হয়, তাহাতেই শিকারী লোকেরা স্থান নির্দ্দিষ্ট করিয়া তরণীযোগে তথায় গমন করত তাহাদের প্রাণ বধ করে। তিমির শরীর হইতে যে তৈল প্রস্তুত হয়, তাহা অনেক কার্য্যে লাগে।