এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

(১৫)

 এইবার পঞ্চমা ভগিনীর পালা। শীতকালে তাহার জন্ম দিন, একারণ আর আর ভগিনী সমুদ্রোপরি উত্থিত হইয়া যে যে বস্তু না দেখিয়া ছিল, তাহা তাহার দৃষ্টি গোচর হইল। তথা হইতে প্রত্যাগত হইয়া সে আপন ভগিনী দিগকে বলিল, দেখিলাম সমুদ্রের জল একেবারে সম্পূর্ণ রূপে হরিদ্বর্ণ হইয়া উঠিয়াছে, জল জমাট হওয়াতে প্রকাণ্ড প্রকাণ্ড বরফের চাপ সকল সমুদ্রোপরি ভাসিতেছে, প্রত্যেক খণ্ডই মুক্তার ন্যায় উজ্জ্বল, মনুষ্যেরা বুদ্ধি কৌশলে যে মন্দির নির্ম্মাণ করে, ইহা তদপেক্ষাও বৃহৎ। তাহাদের আকৃতি বড় একটা উত্তম নহে বটে, কিন্তু হীরার ন্যায়, ঝিক্ মিক্ করিতেছে। তাহার মধ্যে যেটা অতি প্রকাণ্ড আমি তাহারই উপরে বসিলাম, তথা হইতে দৃষ্ট হইল যেন জাহাজ স্থিত নাবিক গণ ভয় পাইয়া বায়ুভরে নিজ নিজ জাহাজ সকলকে বেগে চালাইতেছে, আমি যে স্থানে বসিয়া ছিলাম, সে স্থানে আসিতে তাহাদের বড় শঙ্কা হইল। পবন দেব সত্বর বেগে আমার দীর্ঘ কেশে পতিত হইয়া, চুল গুলী আলু থালু করিয়া ফেলিলেন। দিবাবসান কালে দেখিলাম শূন্য মার্গ মেঘ দ্বারা আচ্ছন, একেবারে ঘোরাল হইয়াছে, ঘন ঘন সৌদামিনী চপলভাবে দীপ্তিমতী হইতেছে, বজ্রাঘাতের শব্দই বা কি,