এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

(১৮)

জীবিত না থাকিলে তাহারা সেখানকার সৌন্দর্য্য কিরূপে অনুভব করিবে।

 ভগিনী গুলীন হাতা হাতী করিয়া জলের উপরিভাগে উঠিলেই কনিষ্ঠাটি একাকিনী দণ্ডায়মান হওত তাহাদের প্রতি নিরীক্ষণ করিয়া মনে মনে কতই ক্রন্দন করিত, মৎস্যনারী দিগের চক্ষু হইতে অশ্রু পতন হয় না, এজন্য তাহারা অন্তঃকরণে অধিক দুঃখ সহ্য করিয়া থাকে।

 আহা! সে আক্ষেপ করিয়া বলিত পনের বৎসর বয়স্কা হইতে আমার অত্যন্ত বাসনা হয়, আমি নিশ্চিত বলিতে পারি, তাহা হইলেই উপরিস্থিত জগৎ এবং পৃথ্বী বাসী লোকদিগকে আমি অধিক প্রেম করিব।

 এইরূপে কিছুকাল পরে ঐ কনিষ্ঠা রাজতনয়া পঞ্চদশ বর্ষ বয়স প্রাপ্ত হইলে তাহার পিতামহী তাহাকে সম্বোধন করিয়া কহিল, ওগো এক্ষণে তুমি বয়স্থা হইয়াছ, আইস তোমার আর আর ভগিনী দিগের ন্যায় তোমাকেও আমি উত্তম পরিচ্ছদ পরাইয়া দি। ইহা বলিয়া কেশ গুলীন বিনাইয়া শ্বেত্ত পদ্মের মালা এক ছড়া তাহাতে পরাইয়া দিলেন, অর্দ্ধ মুক্তা সদৃশ তাহার এক একটি পাবড়ী উজ্জ্বল, আহা! ইহাতে তাহার, কতই শোভা হইল। পরে বৃদ্ধা ভৃত্য-