এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

(১৯)

কে আজ্ঞা করিলেন, ইনি আমার অতি প্রেয়সী কন্যা অতএব আটটা বৃহৎ বৃহৎ কস্তূরা শঙ্খ আনাইয়া ইঁহার লাঙ্গূলে বাঁধিয়া দেও। ভৃত্য তাহাই করিল। অল্পবয়স্কা মৎস্যনারী কনিষ্ঠা রাজকন্যা কহিল ওগো দিদি ইহাতে আমার যে বড় ক্লেশ বোধ হইতেছে। বৃদ্ধা রাণী কহিলেন, ক্লেশ হইতেছে তা কি হবে, অভিমান সকল ক্লেশের মূল, অভিমান থাকিলেই ক্লেশ সহ্য করিতে হয়।

 আহা! ঐ সকল বৃথা জাঁক জমক পরিত্যাগ করিলে সে কতই বা সুখী হইত, অতি ভারি ফুলের মালা ছড়াটা তাহার পক্ষে কি, তাহার বাগানে রক্ত বর্ণের যে সকল ফুল ফোটে তাহাতে তাহার অধিক শোভা হয়। জলবুদ্‌বুদের ন্যায় সে অল্পেঽ সমুদ্রোপরি উঠিয়া উচ্চৈঃস্বরে বলিল আমি এক্ষণে পিতার নিকট হইতে বিদায় হইয়া আসিয়াছি। পরে ঢেউর উপরে মস্তক তুলিয়া দেখে, সুর্য্যদেব অস্তাচলে গমন করিয়াছেন, তাঁহাকে আর কোন মতেই দেখিতে পাওয়া যায় না, কিন্তু মেঘ সকল অল্প অল্প রক্তিমবর্ণ দেখাইতেছে, আমারদিগের ধুতির ফুঁপিতে যেমন আমরা ভিন্ন ভিন্ন পাড় লাগাইয়া থাকি সেইরূপ মেঘের চতুর্দ্দিকস্থ কিনারাও সোণার বর্ণে বর্ণিত হইয়াছে, সমুদায় শূন্যমার্গটা