এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

(২০)

একেবারে গোলাপী রঙ্গের আভাযুক্ত, কিন্তু তাহা শীঘ্র২ বিলুপ্ত হইতেছে। এতাদৃশ সৌন্দর্য্যে শোভিত হইয়া সন্ধ্যা প্রকাশমানা হইলেন। অল্পঽ শীতল বায়ু বহন হইতেছে, সমুদ্রে স্থির জল, কোন প্রকার উপপ্লব নাই। তিনটা মাস্তুল যুক্ত একটা প্রকাণ্ড জাহাজ জলের উপরিভাগে রহিয়াছে; কিছুমাত্র বায়ু সঞ্চালন না হওয়াতে কেবল একটি মাত্র পাল উঠান আছে, নাবিকগণ মাস্তুলে বাঁধা রদ্ধ নির্ম্মিত শিড়ির উপরে চতুর্দ্দিক বেষ্টন করিয়া বসিয়াছে। নানা প্রকার যন্ত্র সংমিলন দ্বারা বিবিধ প্রকার বাদ্য বাজিতেছে, গীতের বা কতই মনোহর স্বর; সন্ধ্যাতীত হইলে অন্ধকার হইয়া রাত্রি উপস্থিত হইল, এমন্ত সময়ে আরোহী লোকগণ নীল পীত লোহিত প্রভৃতি বিবিধ বর্ণের শত শত ঝাড় ও লণ্টন জাহাজের চাঁদনির নীচে খাটাইয়া দিল, আহা! তাহার শোভার কথা কি বলিব, ভিন্ন ভিন্ন জাতিরা সমুদ্র পথে যাইবার সময়ে যেমন এক এক প্রকার ভিন্ন ভিন্ন বর্ণের নিশাণ তুলিয়া দেয়, তাহা যেরূপ দেখায়, উহাও সেইরূপ দেখাইতে লাগিল[১]


  1. এ বর্ণনার তাৎপর্য্য যিনি না উপলব্ধি করিতে পারেন। কলিকাতাস্থ বাবুর ঘাটে গিয়া জাহাজ সকলের প্রতি দৃষ্টিপাত করিলেই উক্তরূপে তাঁহাদের সৌন্দর্য্যানুভব হইবে।