এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

(২৫)

যে রাজকন্যা আর কিছু দেখিতে পাইল না, পর ক্ষণেই বিদ্যুৎ আভা দ্বারা আকাশ মণ্ডল উজ্জ্বলীকৃত হইলে জাহাজস্থিত তাবৎ বস্তু স্পষ্ট রূপে তাহার দৃষ্টি গোচর হইল, বিশেষতঃ বুঝি যুবা রাজপুত্র জল মধ্যে নিমগ্ন হইতেছেন, এই ভয়ে সে কায়মন চেষ্টায় তাঁহাকে দেখিয়া বেড়ায়, এমত সময়ে জাহাজ খান ভগ্ন হইয়া একেবারে চূর্ণ হইয়া গেল। এবার বুঝি রাজ কুমার আমার নিকটে আসিবেন, ইহা ভাবিয়া যে কতই আহ্লাদিতা হইল, কিন্তু পরক্ষণেই বিবেচনা করিল, মনুষ্য জাতি জল মধ্যে তিষ্ঠিতে পারে না, অতএব আমার পিতার বাটীতে উত্তরিবার পূর্ব্বেই তাহার প্রাণত্যাগ হইবে। কিন্তু প্রাণ যায় তাহাও স্বীকার, তথাপি আমি তাঁহাকে প্রাণে হত হইতে দিব না, এই প্রতিজ্ঞায় রাজ তনয়া ঐ তরঙ্গ বিস্তীর্ণ কড়ি কাষ্ঠ এবং তক্তার মধ্য দিয়া সন্তরণ দ্বারা তাঁহার নিকটে গমন করিল, উহাদের আঘাতে তাহার মস্তক যে চূর্ণ হইয়া পড়িবে একবারও সে মনে এমন ভয় করিল না। একবার গভীর জল মধ্যে সে নিমগ্ন হইয়া যায়, আবার প্রবল তরঙ্গের উপরিভাগে মস্তকোত্থিত করে, বারম্বার এই রূপ করিয়া অবশেষে রাজ কুমারের সন্নিকটে গিয়া পৌঁছিল। গিয়া দেখে যে সমুদ্রীয়