এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

(২৬)

প্রবল তরঙ্গের সহিত যুদ্ধ করিয়া তিনি অচেতন হইয়া পড়িয়াছেন, প্রায় ইন্দ্রিয়াদির স্পন্দ মাত্র নাই। হস্ত পদাদি দুর্ব্বল হইয়া পড়িয়াছে, অতি সুন্দর চক্ষু দুইটি মুদ্রিত, আর কিছু ক্ষণ মৎস্যকন্যা তাঁহার সাহায্যার্থে না গেলেই তাঁহার প্রাণ বিনাশ হইত। জলের উপরিভাগে সে রাজ পুত্রের মস্তক তুলিয়া ধরিল, আর মনে করিল এখন কিছু সুবিধা হইয়াছে, সম্প্রতি তরঙ্গ আমাদিগকে যেদিকে ইচ্ছা সেই দিকে ভাসিয়া লইয়া যাউক।

 উষাকালে ঝড়ের প্রাবল্য দূর হইয়া গেল, জাহাজের যে যে অংশ ভগ্ন হইয়াছিল, আর তাহা দেখা গেল না। উদয়াচলে দিবাকর রক্তিমবর্ণ হইয়া উদিত হইলেন, জল হইতে তাঁহার সুবর্ণ কিরণ দৃষ্ট হইতে লাগিল, রাজ কুমারের কপোল দেশে ঐ আভা লাগিবাতে বোধ হইল বুঝি সূর্য্যদেব দয়া করিয়া রাজপুত্রের শরীরের মধ্যে জীবন সঞ্চার করিতে আসিতেছেন, কিন্তু তাঁহার মুদিত চক্ষু উন্মীলন হইল না। মৎস্যনারী প্রেমভাবে তাঁহার সুপ্রসারিত ললাটোপরি চুম্বনকরিতে করিতে তাঁহার জলসিক্ত কেশ গুলীর উপর হাত বুলাইতে লাগিল। আর মনে করিল আমার উদ্যানে শ্বেতবর্ণ প্রস্তরময় যে প্রতিমূর্ত্তিটি আছে ইনি তাহারই ন্যায়, রাজকুমার যেন