এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

(২৮)

লইয়া সন্তরণ দ্বারা তাহার চড়ার নিকটে গেল। তখন স্বেতবর্ণ কোমল বালুকা সকল স্থানে স্থানে রাশি রাশি হইয়া ছিল, মৎস্যনারী ঐ স্থানেই অতি সাবধানে রাজপুত্রকে শয়ন করাইবার জন্য বিশেষ রূপে উদ্যোগ করিতে লাগিল। যেন তাহার মস্তকটি শরীর অপেক্ষা উচ্চীকৃত না হয়, এবং সুর্য্যোত্তাপ যেন উত্তমরূপে লাগে, এই নিমিত্ত সে বড়ই সাবধান হইল! অনন্তর পূর্ব্বোক্ত প্রকাণ্ড অট্টালিকার ভিতর হইতে ঘণ্টাধ্বনি হইবামাত্র কতক গুলীন যুবতী কন্যা উদ্যান মধ্যে আইল। ইহাতে ক্ষুদ্র মৎস্যনারী ভয় পাইয়া সমুদ্রের অনতিদূরে সন্তরণ করিয়া পলাইল, খানিক দূর যাইয়া দেখে যে জলোপরি উচ্চ একখান প্রস্তর ভাসিতেছে। তাহারই পশ্চাতে লুকাইল, পাছে কেহ তাহার বদন মণ্ডল দেখে এজন্য ফেনা দ্বারা মস্তক এবং বক্ষঃস্থল আচ্ছাদিত করিল। দুর্ব্বল রাজপুত্রকে কেহ সাহায্য করিতে আসিয়াছে কি না, সর্ব্বদা এই অবলোকন করিতে লাগিল।

 কিছুকাল বিলম্বে এক যুবতী কন্যা যে খানে রাজকুমার পড়িয়াছিলেন; সেই স্থানেই আসিয়া উপস্থিত হইল। এতাদৃশ ভাবে রাজনন্দনকে শয়ান দেখিয়া প্রথমতঃ সে কিছুভয় পাইল বটে, কিন্তু সে