এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

(২৯)

শঙ্কা অধিক ক্ষণ রহিল না, অত্যল্পকালের মধ্যেই তাহা দূর হইবামাত্র সে আরও জন কতক স্ত্রীলোক ডাকিয়া আনিল, মৎস্যনারী অন্তরে থাকিয়া এ সমুদায় দেখিতেছে, ক্রমে২ দেখিল যে রাজতনয় পুনর্জীবিত হইয়া চতুর্দ্দিকস্থ লোকদিগের প্রতি দৃষ্টিপাত করত অল্প২ হাস্য করিতেছেন। কিন্তু যে যুবতী কন্যা তাঁহার জন্য এত কষ্টভোগ করিয়াছে; তাহাকে মনে করিয়া তিনি হাস্য করিলেন না, অথবা সে যে তাঁহাকে রক্ষা করিতে এত চেষ্টা করিয়াছিল, তিনি তাহাও জানিলেন না। মনেঽ এই আন্দোলন করিয়া সে বড়ই দুঃখিতা হইল; দেখিতেঽ জন কতক মানুষ রাজকুমার কে বহন করিয়া ঐ প্রকাণ্ড অট্টালিকার ভিতরে লইয়া গেল, মৎস্য রাজকন্যাও ক্ষুব্ধান্তঃকরণে জলের ভিতর ডুব মারিয়া একেবারে পিতৃগৃহে প্রত্যাগমন করিল।

 মৎস্য রাজের কনিষ্ঠা কন্যা বড় একটা বাচাল ছিলনা, সর্ব্বদা কোন না কোন বিষয়ের ধ্যান করিয়া কালযাপন করিত। অতএব সে গৃহে আসিয়া বসিয়া রহিয়াছে এমত সময়ে আর আর ভগিনীরা নিকটে আসিয়া তাহাকে জিজ্ঞাসা করিল, ভগিনি! তুমি জলোপরি উঠিয়া কি দেখিয়াছ তাহা বল, কিন্তু সে তাহাদিগকে কোন কথাই বলিল না। সে