এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

(৩২)

রাজপুত্রের বসদ্বাটী যে স্থানেতে ছিল, তাহা তাহারা উত্তমরূপে জানিত, অতএব সকলেই এক কালে সেই স্থানেই গিয়া পৌঁছিল।

 রাজবাটীর শোভার কথা কি বলিব, তাহা উজ্জ্বল পীতবর্ণের চকচক্যা প্রস্তর দ্বারা নির্ম্মিত, সমুদ্র অবধি বাটী পর্য্যন্ত শ্বেতবর্ণ প্রস্তর দ্বারা তাহার সিড়ী নির্ম্মিত হইয়াছে। ছাদের চারিধারে স্বর্ণাভা সংযুক্ত বড় বড় বছরাই গোলাপের গাছ, বাটীর চতুষ্পার্শ্বে এক একটা থামের মধ্যে এক একটি প্রস্তরময় মূর্ত্তি, মনুষ্যের যেমন গঠন তাহাদেরও তেমনি গঠন হওয়াতে ঠিক তাহা জীবিত মনুষ্যের ন্যায় রহিয়াছিল। বড় বড় জানালার স্বচ্ছ সারসীর ভিতর দিয়া বাটীর অভ্যন্তরে যে সকল জমকাল কুঠরী আছে, সে সকলই দেখা যায়, এক একটা কুঠরীর ভিতর এক একটা অতি দামী রেশমী কাপড়ের মশারি, সকলেরই ছাদের নীচে নানা প্রকার নত্ পত্ কাটা চন্দ্রাতপ ঝুলিতেছে, দেওয়ালে বড় রকমের কত ছবি টাঙ্গান, তাহার সংখ্যা করা যায় না। আহা! এবম্বিধ রাজবাটী দৃষ্টি করিলে সকলেরই চক্ষু জড়ায়। যে ঘরটি সর্বাপেক্ষা প্রবল তাহার মধ্যদেশে এক প্রকাণ্ড জলের উৎস, ঐ উৎসের ঝরণা ছাদের নীচের দিকে যে আয়নার খিলান ছিল, সেই খিলান পর্য্যন্ত উ-