এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

(৩৩)

ঠিত, সূর্য্যদেব তাহারই মধ্যদিয়া সেই জলের উপরে কিরণ প্রদান করিতেন, বড় বড় প্রশস্ত বাসনে যে সুন্দর সুন্দর পুষ্প বৃক্ষ ছিল, তাহারাও ঐ আয়নার মধ্য হইতে দিবাকরের কিরণ প্রাপ্ত হইত।

 সমুদ্র রাজকন্যা এক্ষণে রাজার বাটী জানিতে পারিয়া বহুদিবসাবধি সন্ধ্যা এবং রাত্রিকালে তন্নিকটবর্ত্তী জলে যাইয়া কালক্ষেপণ করিত। পূর্ব্বে তাহার আর যে যে ভগিনীরা সমুদ্র মধ্যে গিয়াছিল, তাহারা সাহস করিয়া তটপর্য্যন্ত যাইতে পারে নাই, কিন্তু কিছু ভয় না করিয়া সে তটের অনেক নিকটে গিয়াছিল; সেখানেও রাজকুমারের না পাইয়া বৈঠকখানার বারাণ্ডার নীচে যে একটা অপ্রশস্ত খাল ছিল, সে তাহারও ভিতরে গিয়াছিল, ঐ খাল সেই বারাণ্ডার এত নিকটে ছিল, যে তাহার অতি বিশাল ছায়াটা উহার জল মধ্যে পড়িত। অবলা কন্যা ঐ স্থানেই বসিয়া এক দৃষ্টে সেই হৃদয়ের ধন যুবরাজ কুমারকে নিরীক্ষণ করিয়া বেড়াইত। কিন্তু রাজনন্দন তাহার কিছুই জানেন নাই। মনে করিতেন এমন রমণীয় জ্যোৎস্নার আলোকে আমি একলাই বসিয়া আছি।

 অনেকবার দিবাবসান সময়ে সে দেখিত যে রাজপুত্র খালের মধ্যে একখান লৌকারোহণ করি-