এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

(৩৪)

য়া পরমানন্দে ক্রীড়া করিয়া বেড়াইতেছেন, আর ঐ তরণির অভ্যন্তরে কতইবা বাদ্যের শব্দ, ও তাহা কত প্রকার বিচিত্র বর্ণের নিশাণ দ্বারা শোভিত, তাহা বর্ণনা করা যায় না। খালের ধারে যে সবুজ বর্ণ খাগড়ার বন ছিল, যে তাহারই ভিতরে গমন করিয়া ঐ সকল গীত বাদ্য শুনিত; তাহার রৌপ্যবৎ শুভ্র বর্ণের ঘোমটাটি বায়ুদ্বারা উড়িয়া পড়িলেও লোকেরা বোধ করিত বুঝি কোন হংস পক্ষি আপন পাখাদুটি প্রসারিত করিয়া জল মধ্যে পড়িয়া রহিয়াছে।

 অনেকবার রাত্রিকালে ধীবরেরা মৎস্য ধরিবার নিমিত্ত বাতি জ্বালিয়া সেই খালের জলে জাল বিস্তারিত করিত। জাল পাতা হইলেই জালিয়ারা তমাক খাইতে খাইতে অনেক কথা কহিয়া থাকে, অতএব তাহারাও রাজ কুমারকে প্রশংসা করিয়া অনেক কথা কহিত; যেরূপে তিনি সাগর তরঙ্গে পতিত হইয়া আলোড়িত সমুদ্রজলে ভাসিতে ভাসিতে অর্দ্ধ মৃতবৎ হইয়াছিলেন, যেরূপে তাঁহার জীবন রক্ষা হইয়াছিল, তাহারা এই সকল কথা কহিত, রাজকন্যা তাহা শ্রবণ করত আপনাকে তাঁহার বিপদোদ্ধারের মূল কারণ জানিয়া বিপুলানন্দে মগ্ন হইতেন।

 রাজকুমার সমুদ্র জলে মগ্ন হইলে তন্মস্তকটি