এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

(৩৫)

আপন বক্ষস্থলে রাখিয়া তাহার মুখমণ্ডলে যে সে শত শত চুম্বন করিয়াছিল, সে সকলই তখন তাহার মনে পড়িত, কিন্তু রাজনন্দন ইহার কিছুই জানেন নাই এবং স্বপ্নেতেও তাহাকে একবার মনে করেন নাই। এইরূপে সে পূর্ব্বাপেক্ষা মনুষ্যজাতিকে অধিক প্রেম করিতে লাগিল, মনে২ বড়ই ইচ্ছা তাহাদের সহিত সর্ব্বদা থাকিয়া এক সঙ্গে ভ্রমণ করিতে পারে, কেননা যে জগতে সে বাস করিত তদপেক্ষা তাহাদের বসতি ভূমণ্ডল সে অতি সুন্দর এবং প্রশস্ত বোধ করিত। এক একবার মনে করিত, আহা! মনুষ্যজাতি কি অদ্ভুত কৌশল জানে, তাহারা জাহাজ দ্বারা এতাদৃশ বিস্তারিত সমুদ্র পার হইয়া যায়, যে সকল পর্ব্বত শিখর মেঘগণের উপরিভাগ পর্য্যন্ত উঠে, তাহাতেও তাহারা অনায়াসে গমনাগমন করে, এবং তদধিকারস্থ ভূমি ময়দান এবং বন সকল এমন বিশাল, যে নানাবিধ যত্ন পূর্ব্বক আমি তাহা দর্শন করিতে চাহিলেও তাহা দর্শনাতীত হয়।

 পৃথিবীস্থ অনেক বিষয় জানিত না বলিয়া সে আপন ভগিনীদিগকে তাহা জিজ্ঞাসা করিত, কিন্তু তাহারাও প্রত্যুত্তর দ্বারা তাহাকে সন্তোষ করিতে পারিত না; একারণ বৃদ্ধা পিতামহীর নিকটে গমন করিয়া সে ঐসকল বিষয়ের প্রশ্ন করিত, রাজমাতা