এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

(৩৬)

উপরিস্থিত জগতের বিবরণ ভালরূপে জানিভ, অতএব যথার্থতঃ উহাকে জগৎ বলা উচিত নয় জানিয়া, সমুদ্রের উপরিভাগস্থিত ভূমি বলিয়া ডাকিতেন।

 ক্ষুদ্র মৎস্যনারী জিজ্ঞাসা করিল, যদি মনুষ্য জাতি জলমধ্যে ডুবিয়া মরে না, তবে কি তাহারা চিরকাল বাঁচে? এখানে সমুদ্রের ভিতর বাস করিয়া আমরা যেমন কাল আসিলেই মৃত্যুর হস্তে পতিত হই, তাহাৱা কি তেমন হয় না?

 এই সকল প্রশ্নের উত্তর প্রদানে বৃদ্ধা রাণী কহিলেন, হাঁ অবশ্য আমাদের ন্যায় তাহারাও মরিয়া থাকে; তাহারা আমাদের অপেক্ষা অধিক দিন বাঁচেনা, অত্যল্পকালের মধ্যেই কালগ্রাসে পতিত হইয়া থাকে। তিন শত বৎসর পর্য্যন্ত আমাদের পরমায়ু, কিন্তু মরিলেই আমরা একেবারে সমুদ্রের ফেনা হইয়া যাই, আমাদের মৃতদেহ পর্য্যন্ত থাকেনা, সকলই ফুরাইয়া যায়। আমাদের আত্মা অমর নহে, এজন্য আমরা মরিলে আর কোন নূতন জীবন প্রাপ্ত হইনা, সবুজবর্ণ খাগড়া গাছের সহিত তুলনা করিলে আমাদের সঙ্গে তুলনা হইতে পারে, তাহাদিগকে একবার কাটিয়া ফেলিলে পুনঃজীবন প্রাপ্ত হইয়া আর তাহারা প্রবল হইয়া উঠে না, আমরাও সেইরূপ মরিলে আমারদের