এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

(৩৭)

সকলই বিনাশ পায়। কিন্তু মনুষ্যজাতি সেরূপ নহে, তাহাদিগের আত্মা অনন্তকাল পর্য্যন্ত থাকে, মরণের পর তাহাদের মৃত শরীর অগ্নি দ্বারা দগ্ধ করিয়া ফেলিলেও ঐ নির্ম্মল শূন্যমার্গের উপরিভাগে যে জ্যোতির্ম্ময় নক্ষত্র লোক দেখিতেছ, সে স্থান পর্য্যন্তও তাহাদের অমর আত্মা যায়। আমরা যেমন মনুষ্যজাতির যাতায়াত দেখিতে জলের উপরিভাগে উঠি, তাহারাও তেমনি সেই অজ্ঞাত অপরিচিত আনন্দ স্বরূপ দেশে ভ্রমণ করে।

 এই কথাতে দুঃখিতা হইয়া অপবয়স্কা মৎস্যনারী পিতামহীকে জিজ্ঞাসা করিল, তবে আমাদেরও কেন অমর আত্মা নাই? শত শত বর্ষ বাঁচিবার পরিবর্ত্তে মনুষ্যজাতি হইয়া যদি এক দিন বাঁচি তাহাও ভাল, আমি ইচ্ছাপূর্ব্বক শত বর্ষ পরমায়ুও এক দিনের জন্য পরিবর্ত্ত করিতে প্রস্তুত হইয়াছি, তাহা হইলেই সেই অনন্ত সুখ সম্ভোগ করণের আশা সফলা হইতে পারিবে। বৃদ্ধা কহিলেন, তুমি এমন বিবেচনা কখনই করিও না, উপরিস্থিত মনুষ্যজাতি অপেক্ষা আমরা এইস্থানে পরম সুখে বাস করিতেছি।

 কনিষ্ঠা রাজকন্যা বলিল, আহা! কি দুঃখ মরিলেই আমি সমুদ্রের ফেনা হইয়া জনের উপরে