এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

(৩৮)

ভাসিয়া ভাসিয়া বেড়াইব, তরঙ্গের যে মধুর শব্দ আর তাহা শুনিতে পাইব না, সুন্দর সুন্দর পুষ্প সকল এবং অতি মনোহর রক্তিম বর্ণের সূর্য্য প্রভৃতি আর আমার চক্ষুর্গোচর হইবে না, ওগো দিদি! তোমাকে জিজ্ঞাসা করি, তাহার পর অমর আত্মা পাইবার কি আর কোন উপায় নাই?

 প্রাচীনা সমুদ্ররাণী কহিলেন, না তাহা কখই হইবে না, যদ্যপি কোন মনুষ্য তোমাকে আপন পিতা মাতা অপেক্ষা অধিক প্রেম করে, যদ্যপি তাহার সমুদায় ভাবনা এবং প্রেমাদি সকল স্নেহ তোমারই উপরে বর্ত্তে; যদ্যপি তাহার কুল পুরোহিত মন্ত্রপাঠ দ্বারা তাহার দক্ষিণ হস্ত তোমার মস্তকে প্রদান করাইয়া প্রতিশ্রুত করান যে ইহকালে এবং পরকালে তোমার নিকটে যাথার্থিক ব্যবহার করিয়া তোমাকে শ্রদ্ধা ভক্তি করিবে, তবেই তাহার আত্মা তোমার শরীরে যাইতে পারিবে; এবং তাহা হইলেই মনুষ্যজাতি যে সুখ সম্ভোগ করে তাহার অংশী হইতে পারিবে। কিন্তু মনে রাখ, সে আপন আত্মা তোমাকে দিলেও তাহার আত্মা তাহাকে একেবারে পরিত্যাগ করিবেনা। তুমি বাছা বালিকা, অধিক কথা কথনের প্রয়োজন কি আছে? যাহা তোমাকে বলিলাম তাহা কখন ঘটিতে পারে না। আমরা সমুদ্রবাসী লোক, মৎ-