এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

(৪০)

কখম চক্ষেও দেখিতে পাইব না। যে দালানের মধ্যে ঐ ভোজ প্রস্তুত হইয়া থাকে তাহার দেওয়াল এবং ছাদের নিম্ন দিকটা অতি স্বচ্ছ মোটা মোটা কাচ দ্বারা নির্ম্মিত, উহার প্রত্যেক দিকেই শত শত প্রকাণ্ড প্রকাণ্ড কস্তূরা শঙ্খ সারি সারি ঝুলান হইয়াছে। আহা! তাহার সৌন্দর্য্যের কথা কি কহিব, কতকগুলীন ঘোর রক্তবর্ণ, আর কতকগুলীন তৃণবৎ হরিদ্বর্ণ ছিল, উহা হইতে যে প্রজ্বলিত শিখা বহির্গত হইত, তাহা নীলবর্ণ হওয়াতে সমুদায় দালান টা একেবারে আলোকময় হইয়াছিল, দেওয়ালের উপরিভাগে তাহারা স্থাপিত, এজন্য তাহা দিয়া উহাদের আভাক্রমে প্রজ্বলিত রূপে বাহির হইলে সমুদ্রের চারিদিক ক্রমে আলোক ময় হইয়া উঠিত, অগণ্য বৃহৎ এবং ক্ষুদ্র মৎস্য ঐ কাঁচ নির্ম্মিপ্ত দেওয়ালের মধ্য দিয়া সন্তরণ করিয়া বেড়ায়, কতক গুলার গাত্র মধ্যে লোহিতবর্ণের আঁইষ, কতক গুলা স্বর্ণ এবং রৌপ্যবৎ শল্‌ক দ্বারা অতি চকচক্যা হইয়াছিল।

 সেই ভোজ গৃহের মধ্য দিয়া একটা স্রোত নিঃসরণ হয়, মৎস্যনর এবং মৎস্যনারীরা তাহারই উপরে দণ্ডায়মান হইয়া আপনাদিগের রীত্যনুসারে নৃত্য গীতাদি করে, তাহাদের কেমনই বা সুমধুর স্বর? মনুষ্যজাতিরা সহস্র২ বৎসর অভ্যাস করিলেও