এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

(৪১)

তেমন স্বর পাইতে পারেনা। কনিষ্ঠা রাজতনয়া গায়নীদিগের মধ্যে সর্ব্ব প্রধানা, তাহার মত সুস্বর কোন মৎস্যনারীরই ছিল না, তাহার গানে রাজসভাসদগণ সকলেই অতি মোহিত হইয়া আপনাদিগের হস্ত এবং লাঙ্গূলোত্তোলন পূর্ব্বক কত প্রশংসা করিতে লাগিল; ঐ যুবতী মৎস্যনারী জানিত পৃথিবী এবং সমুদ্রের মধ্যে কেহই আমার ন্যায় গান করিতে পারে না, অতএব তাহাদিগের প্রশংসাতে অত্যল্পকালের জন্য কিছু সুখ বোধ করিল। কিন্তু পর ক্ষণেই উপরিস্থিত জগতের বিষয় তাহার মনে হইলেই সে বিপুল দুঃখে পুনরায় পড়িল; একে রাজকুমার অতি রূপবান তাহাতে আবার তাঁহার অমর আত্মা আছে, যে আত্মা নাই বলিয়া তাহার মনোদুঃখ এত, সে সমুদায় ভুলিয়া আর কতকাল থাকিতে পারে? পিতৃ অট্টালিকায় গীত মহোৎসবাদি পরিত্যাগ পূর্ব্বক লুক্বায়িত ভাবে আসিয়া ক্ষুব্ধান্তঃকরণে আপন ক্ষুদ্র উদ্যানের মধ্যে বসিয়া রহিল। এখানে শুনিতে পাইল যে জলের মধ্য হইতে একটা তুরীর শব্দ আসিতেছে।

 বাদ্য শুনিয়া তখন সে মনে মনে চিন্তা করিতে লাগিল, যে আমার হৃদয়ের ধন, যাহার জন্য দিবারাত্রি আমি ভাবনা করিয়া থাকি, ইহলোকের