এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

যত সুখ আমি ইচ্ছাপূর্ব্বক যাহার হস্তে সমর্পণ করিয়াছি, সেই বুঝি জাহাজারোহণে সমুদ্র মধ্যে ভ্রমণ করিয়া বেড়াইতেছে। যে কোন কৌশলে হউক না কেন, কোন না কোন প্রকারে আমি তাহার মন হরণ করিয়া অমর আত্মা প্রাপ্ত হইবার বিশেষ উদ্যোগ করিব। ভগিনীরা সম্প্রতি পিতার দুর্গমধ্যে নৃত্য করিতেছেন, এই সুযোগে আমি সমুদ্র ডাকিনীর নিকটে গিয়া জানাই, এতকাল তাহাকে ভয় করিয়া কখন আমি কোন কথা জিজ্ঞাসা করি নাই বটে, কিন্তু বোধ হয় সে আমার পূর্ব্বাবস্থা দেখিয়া অবশ্যই সৎপরামর্শ দ্বারা আমাকে এ বিষয়ে কোন সাহায্য করিতে পারিবে।

 ঘূর্ণিত জলের পশ্চাদ্ভাগে সমুদ্র ডাকিনীর বাসস্থান, অবলা মৎস্যনারী স্বীয় উদ্যান পরিত্যাগ পূর্ব্বক সেই স্থানেই গমন করিল। সে পূর্ব্বে ঐ পথে কখন যায় নাই। সেখানে পুষ্প বা সমুদ্রীয় তৃণ কিছুমাত্র জন্মায় না, কুমরের চাকে বলপূর্ব্বক পাক লাগাইলে যেমন তাহা ভোঁ ভোঁশব্দে ঘূর্ণায়মান হয়, সেখানকার বারিও তদনুক্রমে ঘূর্ণিত হইয়া উপরিভাগে যাহা পাইত, অধোভাগের গভীর স্থানে তাহাই নিক্ষেপ করিত। এই সমুদায় ঘূর্ণিত জলের মধ্য দিয়া মৎস্যনারীকে সেই ডাকিনীর রাজ্যে যাইতে হইয়াছিল, হয়তো