এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

(৪৩)

তাহাকে সে নির্দ্দয় স্থানের করাল কবলে পতিতা হইতে হইত; ভাল উহাও না হয়, পার হইয়া সে নিরাপদে যাউক কিন্তু নিরাপদ কোথায়? তাহা ছাড়াইয়া গেলেও অনেক দূর পর্য্যন্ত কোন পথ ঘাট নাই, সেখান হইতে যত দূর যাইতে হইবে সে সকলই অতিউষ্ণ পঙ্কযুক্ত স্থান বজ্ বজ্ করিতেছিল। তৎপশ্চাতে অত্যাশ্চর্য্য বনের মধ্যে তাহার বসদ্বাটী, তত্রস্থ বন এবং ঝোপ ঝাপ গুলান অত্যদ্ভুত। তাহা অর্দ্ধ জন্তু এবং অর্দ্ধ বৃক্ষবৎ ছিল, দেখিলেই বোধ হইবে যেন শতমুখী সর্প সকল ভূমি হইতে উৎপন্ন হইয়াছে; উহাদের শাখা সকল দীর্ঘ দীর্ঘ বাহুর ন্যায় চক্ চক্ করিতেছিল, কিঞ্চুলুকা যেরূপ স্বাভাবিক নমনীয়, যে দিকে ইচ্ছা সেই দিকেই নোয়ান যাইতে পারে, উহাদের অঙ্গুলীও সেইরূপ ছিল, মূল অবধি আগা পর্য্যন্ত যে সকল গাঁইট আছে, তাহা ইচ্ছাক্রমে যেমনে ইচ্ছা তেমনেই বাঁকান যায়। উহারা সমুদ্রস্থিত বস্তু সকল জড়িয়া ধরিত, কিন্তু পুনর্ব্বার তাহা ছাড়িত না। অল্প বয়স্কা মৎস্যনারী তাহাদিগকে দেখিবাতে ভয়ে তাহার বক্ষস্থলটি টিপ্ টিপ্‌ করিতে লাগিল, একবার ইচ্ছা করিল আমি ঘরে ফিরিয়া যাই, কিন্তু পরক্ষণেই পরমসুন্দর রাজপুত্র এবং মনুষ্য জাতিদের