এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

(৪৫)

ঙ্কা প্রযুক্ত সে অতিশয় আশ্চর্য্য হইয়াছিল।

 বিরহিণী খানিক দূর যাইতে যাইতে বন মধ্যে একটা দল দল্যা কর্দ্দম স্থান পাইল, তথায় বড় বড় জল সর্প সকল পঙ্কেতে অবলুণ্ঠিত হইয়া আপনাদিগের অতি কুৎসিত লালচে শরীরটা দেখাইতেছে। এই জঘন্য স্থানের মধ্যে জাহাজ ভগ্ন দ্বারা যে যে মনুষ্য জলে ডুবিয়া আপনাদিগের জীবন পরিত্যাগ করিয়াছে, তাহাদেরই অস্থি দ্বারা একটা বাটী নির্ম্মিত হইয়াছিল, তাহার ভিতরেই সমুদ্র ডাকিনীর বাস, আমরা যেমন ময়না পাখীকে ছাতু, চিনি, ঘি মিশ্রিত গুলিপাকাইয়া খাওয়াই, সেও সেইরূপ একটা ভেক লইয়া ভক্ষণ করিতেছিল। কদাকার মোটা মোটা ধোঁড়া সাপ গুলাকে সে কুক্বুট শাবক কহিত, তাহারা তাহার বক্ষস্থল পর্য্যন্ত চলিয়া গেলেও সে কিছু বলিত না।

 সমুদ্র ডাকিনী কহিল, মৎস্য কন্যে! তুমি যে জন্যে আমার নিকটে আগমন করিয়াছ, তাহা আমি জানি। শুন বাছা রাজকন্যে তুমি মনোভীষ্ট সিদ্ধ করিতে বাসনা করিলেই ভারি বিপদ গ্রস্তা হইবে, তথাপি তাহা সম্পন্ন করিতে চাহ, ভাল, কর, কিন্তু ইহা অতি নির্ব্বোধের কর্ম্ম। আমি বুঝিয়াছি তুমি আপন মৎস্য লাঙ্গূল হইতে মুক্ত হইয়া যে দুই অবলম্ব দ্বারা মনুষ্যজাতি ইতস্তুতঃ ভ্রমণ ক-