এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

(৪৮)

অথবা আপন পিতার রাজভবনে কখনই আসিতে পারিবে না। রাজকুমার যদি তোমার নিমিত্ত আপন পিতা মাতাকে সম্পূর্ণরূপে বিস্মৃত হইয়া সমুদায় অন্তঃকরণের সহিত তোমাকে প্রেম না করেন, এবং পুরোহিতকে আনাইয়া মন্ত্র পাঠ পূর্ব্বক আপন হস্ত তোমার হস্তে সংমিলন করত যদি বিবাহ কার্য্য সম্পন্ন না করেন, তবে তুমি অমর আত্মা কখনই পাইবে না, ওগো রাজনন্দিনী! রাজকুমারকে প্রেমরজ্জু দ্বারা বশীভূত করা তোমার অমর আত্মা প্রাপ্ত হইবার একমাত্র উপায় জানিও। যেদিন রাজসুত তোমায় পরিত্যাগ করিয়া অন্য কাহাকেও বিবাহ করিবেন, সেই দিন তোমার অন্তঃকরণ বিদীর্ণ হইয়া একেবারে তুমি তরঙ্গ ফেনায় লীন হইয়া যাইবে।

 মৃত ব্যক্তির শব যেমন পাংশুবর্ণ হয়, বিরহিণী মৎস্যনারীও তদ্রূপ পাংশুবর্ণ হইয়া ধীরে ধীরে বলিতে লাগিল, ওগো! আমি স্থির প্রতিজ্ঞ হইয়াছি। ডাকিনী বলিল, আমি যে তোমায় ঔষধ দিব, তৎপরিবর্ত্তে তুমি আমায় কি দিবে, তা বল, আমি ইহার নিমিত্ত যাহা চাহি তাহা বড় একটা সামান্য বিষয় নহে। সমুদ্রবাসী লোকদের মধ্যে তোমার স্বর অতি মিষ্ট, বোধ করিতেছি, এই স্বরেই তুমি রাজপুত্রকে মোহিত করিয়া প্রেমফাঁশি তাহার