এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

(৫২)

করে, এইরূপ করিতে করিতে নীলবর্ণ জলের মধ্যদিয়া উপরিভাগে উঠিল।

 রাজপুত্রের প্রস্তরময় সিড়ির নিকটে পৌঁছিয়া যখন সে তাঁহার গড়ের প্রতি অবলোকন করিতে লাগিল, তখন পর্য্যন্তও সূর্য্যোদয় হয় নাই। জ্যোৎস্না দ্বারা চারিদিক উজ্জ্বলীকৃত। মৎস্যনারী তটোপরি উপবেশন করিয়া একেবারে সেই অতি তীক্ষ্ণ প্রজ্বলিত অনলের ন্যায় ঔষধমাত্রা পান করিয়া ফেলিল। গলাধঃকরণ হইবামাত্র যেন শাণিতধারা খড়্গ তাহার কোমল শরীরে বিদ্ধ হইয়া গেল। তাহাতে সে মূর্চ্ছাপন্ন হইয়া একেবারে নির্জীব হইয়া পড়িল। পরে সূর্য্যোদয় হইলে সে চৈতন্য পাইয়া উঠিল বটে, কিন্তু যন্ত্রণায় অস্থির; চক্ষু উন্মীলন করিয়া দেখে, যে রাজকুমার তাহার সম্মুখ ভাগে দণ্ডায়য়ান হইয়া রহিয়াছেন। তিনি মনোভিনিবেশ পূর্ব্বক এক দৃষ্টে তাহার প্রতি নিরীক্ষণ করাতে সে অধোবদন করিয়া ভূমির প্রতি চাহিয়া রহিল, তাহাতে সে দেখিতে পাইল তাহার মৎস্যলাঙ্গুল একেবারে বিলুপ্ত হইয়া গিয়াছে, যুবতী স্ত্রীলোকে যে পদ পাইবার অভিলাষ করিয়া থাকে, এমন দুটি শুভ্রবর্ণের ছোট ছোট অতি মনোহর পদ পাইয়াছে। অঙ্গে কিছুমাত্র পরিধেয় নাই, কি করে আপনার সুদীর্ঘ কেশ দ্বারা তাবৎ