এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

(৫৩)

অঙ্গটা ঢাকাদিয়া লজ্জাতে অধোমুখে বসিয়া আছে। এমত সময় রাজপুত্র জিজ্ঞাসা করিলেন, তুমি কে? কোথা হইতে আসিয়াছ,কেনইবা এখানে আইলে! বালিকার রসনা নাই, কিরূপে কথা কহিতে পারিবে, অতএব মনের শোকে আপনার নীলবর্ণ চক্ষুরুন্মীলন করিয়া রাজপুত্রের প্রতি মাধুর্য্যভাবে এক একবার দৃষ্টিপাত করিল, তদ্দ্বারা রাজনন্দনের অন্তঃকরণে দয়ার সঞ্চার হইলে তিনি তাহার হস্ত ধরিয়া রাজপ্রাসাদে আনয়ন করিলেন। পূর্ব্বে ডাকিনী তাহাকে সতর্ক করিয়া দিয়াছিল, তীক্ষ্ণ ছুরিকা অথবা সূচির উপরে পদ প্রক্ষেপ করিলে যেরূপ বেদনা বোধ হয়, প্রতিধাপে পা দিলেই তোমার সেই রূপ ক্লেশ হইবে, সিড়ী দিয়া রাজ বাটীতে প্রবেশ কালীন তাহার কথা যথার্থ বোধ হইল, কি করিবে ইচ্ছা পূর্ব্বক কে তাহা সহ্য করিয়া থাকে, রাজনন্দন স্বয়ং তাহার হস্ত ধরিয়া লইয়া যাইতেছেন, একারণ সাবানকে ঘর্ষণ করিলে তাহা যেমন ক্রমশঃ বুদ্‌বুদ্ কাটিতে থাকে, সেই রূপ সে আস্তে আস্তে চলিতে লাগিল, তিনি এবং প্রত্যেক ব্যক্তিই তাহার সুচারু গমন দেখিয়া অতিশয় চমৎকৃত হইলেন।

 রাজ বাটীতে নীত হইলে পর ভৃত্যেরা অতি দামি রেশমি বস্ত্র আনাইয়া তাহাকে সুন্দর রূপে