এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

(৫৪)

পরাইয়া দেওয়াতে এমত শোভা হইল যে তত্তুল্য রূপসী কন্যা কেহই আর রাজ ভবনে দৃষ্ট হইল না, কিন্তু সে বোবা না গান গাইতে পারে, না কথা কহিতেই পারে। সুন্দরী সুন্দরী দাসী সকল স্বর্ণালঙ্কারে ভূষিতা হইয়া মনোহর বেশে রাজ পুত্র এবং তাঁহার পিতা মাতার সমীপে নৃত্য গীত করিতে আইল। তন্মধ্যে এক জনের অতি সুমধুর স্বর, রাজ নন্দন তাহা শ্রবণ করিয়া আহ্লাদে করতালি দিয়া ঈষদ্ধাস্য করিতে লাগিলেন। ইহাতে ঐ মৎস্যনারী অন্তঃকরণে বড় শোক পাইল। কেননা সে জানিত আমি কতবার ইহাদিগের অপেক্ষাও মধুর স্বরে গান করিয়া সমুদ্র বাসী লোক দিগকে সন্তুষ্ট করিয়াছি, আহা! কুমার যদি জানিতেন যে তাঁহার নিকটেই আসিবার কারণ অনন্তকালের নিমিত্ত আমার সেই স্বর নষ্ট হইয়াছে, তবে কত ভাল হইত।

 পরে দাসীগণ নানাবিধ মতে অঙ্গ ভঙ্গি করিয়া সুচারুরূপে বাদ্যের তালে তালে নৃত্য করিতে লাগিল। মৎস্যনারী নর্ত্তকীদের বেলয় নৃত্য দেখিয়া আপন নৃত্য সম্বরণ আর করিতে পারিল না, আপনার অতি সুন্দর শুভ্রবর্ণ হস্ত দুটি উত্তোলন করিয়া পদাঙ্গুলির অগ্রভাগে নির্ভর করত দণ্ডায়মানা হইল, একবার দর্শকদিগের