এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

(৫৫)

প্রতি কটাক্ষ দৃষ্টি করে, এক একবার অঙ্গ ভঙ্গি দ্বারা সুচারুরূপে ইতস্ততঃ মেঝ্যার মধ্যে নৃত্য করিয়া বেড়ায়, দেখিয়া সকলেই মোহিত, এবং সকলেই এক বাক্যে স্বীকার করিল, যে পূর্ব্বে কখন এমন নৃত্য আমাদের চক্ষুর্গোচর হয় নাই। যতবার চলে ততবারই নূতন সৌন্দর্য্য হয়, তাহাতে আবার অমন সুন্দর মৃগনয়নের কটাক্ষ দৃষ্টি, রাজকুমার আর কতকাল স্থির হইয়া থাকিবেন, দাসীদিগের সংগীত দ্বারা তাঁহার মনে চাঞ্চল্য হয় নাই, কিন্তু মৎস্যনারীর কটাক্ষ বাণ এক বারে তাঁহার হৃদয় বিদীর্ণ করিল। দর্শকদিগের মধ্যে প্রত্যেক ব্যক্তিই তাহার নৃত্য দেখিয়া বিপুলানন্দে মগ্ন হইয়াছিল বটে, কিন্তু রাজকুমারের মন আকৃষ্ট হইয়া তাহাতে যে রূপ মুগ্ধ হইয়াছিল, এমত কাহারও হয় নাই। তিনি সাগর তটমধ্যে উহাকে কুড়িয়া পাইয়াছিলেন একারণ স্নেহবশতঃ তাহাকে কুড়নী বলিয়া ডাকিতেন। অঙ্গুলীর অগ্রভাগ দ্বারা যতবার সে মেঝ্যাস্পর্শ করিল ততবারই তীক্ষ্ণ ছুরিকা যেন তাহাতে বিদ্ধ হইয়া গেল, তথাপি সে নৃত্য করিতে বিরাম করিল না। রাজকুমার সকলের কাছে অঙ্গীকার করিলেন আমি যাবজ্জীবন এই কন্যাকে পরিত্যাগ করিব না, একস্থানে একাসনে