এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

(৫৬)

সর্ব্বদা কালযাপন করিব, আজ্ঞা করিতেছি, অদ্য রাত্রিকালে যেন ইহার অন্তঃপুরের গদি আমার দ্বারের সম্মুখভাগে পাতা থাকে।

 অশ্বারোহণ করিয়া ঐ যুবতী যেন তাহার সঙ্গে ভ্রমণ করিতে পারে, এজন্য পুরুষের ন্যায় করিয়া তাহাকে বস্ত্র পরিধান করাইয়া ঘোটকারোহণে উভয়েই সদ্‌গন্ধযুক্ত অরণ্য মধ্য দিয়া যায়, হরিদ্বর্ণ বৃক্ষ শাখা সকল তাহাদের স্কন্ধদেশ পর্য্যন্ত স্পর্শ করিল। শীতল পত্র মধ্যে ক্ষুদ্র পক্ষীরা বিবিধ স্বরে গান করিয়া কেলী করিতেছে, এমত সময়ে তাহারা একটা পর্ব্বত দেখিতে পাইয়া পাশাপাশি দুই জনেই তাহাতে আরোহণ করিতে লাগিল; যাইতে যাইতে মৎস্যনারীর কোমল পদ হইতে রক্ত বহির্গত হইতেছে, আর আর সঙ্গীগণ তাহা দেখিতে পাইলেও সে তাহাতে দুঃখ বোধ করিল না, বরং তাচ্ছীল্য করিয়া হাস্য করিতে লাগিল। পর্ব্বতটা অতি উচ্চ, রাজকুমারের সঙ্গে সঙ্গে তাহার উপরিভাগ পর্য্যন্ত উহারা যাইয়া দেখে, দূর দেশে পক্ষীরা উড়িয়া যাইতেছে দেখিলে যেরূপ বোধ হয়, তাহাদের অধোভাগেও মেঘ সকল সেই রূপ চলিয়া যাইতেছে। তথা হইতে প্রত্যাগমন করিয়া যখন ঐ মৎস্যনারী দেখিল যে রাত্রিকালে রাজবাটীর অন্যান্য লোক সকলেই নিদ্রাবস্থায় আছে, তখন সে