এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

(৫৮)

জানাইবাতে আমরা যেমন প্রাণাধিক আপন গুণবান পুত্রকে স্নেহ করিয়া থাকি, তিনিও সেই রূপ বাৎসল্য ভাব প্রকাশ করিয়া তাহাকে পূর্ব্বাপেক্ষা অধিক ভাল বাসেন, কিন্তু বিবাহ করিয়া তাহাকে রাজমহিষী করিব, এমন বাসনা তাঁহার মনে এক মুহূর্ত্তের নিমিত্ত হয় নাই; আহা! রাজপত্নী না হইলে সে অমর আত্মা প্রাপ্ত হইতে পারিবে না, যে দিনে রাজকুমার অন্য কন্যার পাণি গ্রহণ করিয়া আপন ধর্ম্ম পত্নী করিবেন, তৎপর দিবসেই সে সমুদ্র জলে লীন হইয়া একেবারে ফেনা হইয়া যাইবে।

 রাজকুমার তাহার মুখ মণ্ডলে চুম্বন করিয়া তাহাকে আপন হৃদয়োপরি গ্রহণ করিলেই সে কটাক্ষ ঈক্ষণ দ্বারা যেন জিজ্ঞাসা করিল, তুমি আমাকে সর্ব্বাপেক্ষা অধিক প্রেম কর কি না। রাজপুত্র বলিলেন, তোমার অন্তঃকরণ সর্ব্বাপেক্ষা সরল এজন্য তোমাকেই আমি সকল হইতে অধিক প্রেম করি। আর একটি আশ্চর্য্য কথা শুন একবার আমি জাহাজে করিয়া সমুদ্র মধ্যে বেড়াইতে গিয়াছিলাম। দৈবাধীন জাহাহ খানা ঝটিকা দ্বারা জল মধ্যে নিমগ্ন হইয়া যায়, তরঙ্গোপরি ভাসিতে ভাসিতে আমি একটা মন্দিরের নিকটে উপস্থিত হইয়াছিলাম, ঐ পুণ্য