এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

(৬০)

দ্ধার করিয়া তাহার জীবন রক্ষা করিয়াছি, যে পবিত্র মন্দিরের কথা রাজকুমার আমায় কহিতেছেন আমিই তাঁহাকে বহন করিয়া সেই মন্দিরের নিকটে লইয়া যাই, কোন মনুষ্য আসিয়া তাঁহাকে সাহায্য করে কি না, তাহা দেখিবার জন্য আমিই সেই ফেনার নীচে বসিয়াছিলাম, যে রূপসী কন্যাকে রাজা আমা অপেক্ষা অধিক প্রেম করেন, আমি তাহাকে দেখিয়াছি, এই চিন্তায় অভিভূতা হইয়া সে হাহাকার করিতে লাগিল, কেন না নিতান্ত দুঃখিতা ছিল বলিয়া তাহার চক্ষু হইতে অশ্রু পতিত হয় নাই। আপন ভগ্নচিত্তকে সান্ত্বনা করিবার নিমিত্ত মৎস্যনারী বলিল, “রাজকুমার বলিয়াছেন যে সে রমণী পবিত্র মন্দির সম্পর্কীয়া অতএব সে পৃথিবী তলে আর কখন পুনরাগমন করিবে না, আমি কেন তাহার জন্যে এত ভাবিয়া মরি” যদি প্রতিদিন আমি রাজপুত্রের উপর দৃষ্টি রাখিয়া পাশাপাশি দিবা রাত্রি তাঁহার সহিত কাল যাপন করি, তবে ঐ কামিনী পুনরায় আর তাঁহার সাক্ষাৎ পাইবে না। আমি প্রাণপণে রাজনন্দনকে প্রেম করিবার বিশেষ যত্ন করিব, উহাঁর জন্য যদি আমার জীবন পর্য্যন্ত নষ্ট করিতে হয় তাহাতেও অসম্মতা নহি।

 এমন সময় রাজনন্দনের বিবাহ সম্বন্ধোপলক্ষে