এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

(৬১)

ভাটেরা রাজ সভাতে কোন অদূরবর্ত্তী রাজার এক পত্র আনয়ন করিল, রাজকন্যা পরমা সুন্দরী এবং সেই দেশ সন্নিহিত এক বিখ্যাত রাজার কন্যা, অতএব পুত্রবধূ যথা যোগ্যা হইবে বলিয়া রাজা-রাণী আনন্দ সাগরে মগ্ন হইলেন, আর ভাটদিগকে শাল দোশালা স্বর্ণাঙ্গুরী প্রভৃতি পুরস্কার দিয়া কহিলেন, তোমরা এক্ষণে বিদায় হও আমরা সম্বন্ধ এক প্রকার স্থির করিলাম, অল্প দিনের মধ্যেই আমার সভা হইতে পাত্র মিত্র গণ যাইয়া রাজকন্যাকে দর্শনী প্রদান করিবেন। রাজকুমার স্বয়ং সেই কন্যা দেখিবার মানসে বিস্তর সমারোহ করিয়া একখান জাহাজে যাত্রা করিলেন, পাছে পিতা মাতা টের পান এজন্য লোক দিগকে কহিয়া দিলেন, তোমরা ঘোষণা করিয়া দেও, রাজনন্দন সন্নিহিত অধিকার সকল একবার দেখিতে যাত্রা করিবেন, কিন্তু বাস্তবিক সে সকলই মিথ্যা, রাজকুমারীকে দেখাই তাঁহার প্রধান সংকল্প ছিল। অনেক লোক সঙ্গে যাইতেছে ইহা দেখিয়া মৎস্যনারীও মস্তক সঞ্চালন করত, ঈষৎ হাস্য করিতে লাগিল। কেহই তাহার মত রাজকুমারের মনোগত ভাব বুঝিতে পারিত না। তখন রাজপুত্র কহিতে লাগিলেন, প্রিয়ে! ক্ষান্ত হও, আমার সঙ্গে যাইতে এত উদ্যতা হইও না।