এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

(৬২)

পিতা মাতা আমার বিবাহ জন্য উদ্যোগ করিতেছেন, সে কেমন সুন্দরী কন্যা আমি অদ্যাবধি দেখি নাই, অতএব স্বচক্ষে তাহাকে একবার দর্শন করা উচিত হয়; কিন্তু মনেও করিও না, বিবাহ না করিলে তাহারা বল পূর্ব্বক আমার সঙ্গে সেই কন্যার বিবাহ দিবে। যদিও দেয়, তথাপি আমি তাহাকে কোন প্রকারেই প্রেম করিতে পারিনা, মন্দিরে যে যুবতীকে আমি দর্শন করিয়াছিলাম, তুমি সর্ব্ব বিধায়ে তাহারই ন্যায়, কিন্তু সে রাজনন্দিনী তদনুরূপ কখন হইতে পারিবে না। ওলো আমার বোবা কুড়ানী! তুমি মৃগচক্ষু দ্বারা মনোগত সকল ভাবই প্রকাশ করিয়া থাক যদি আমাকে বিবাহ করিতে হয়, তবে অত্যল্প কালের মধ্যেই আমি তোমাকে বিবাহ করিব। ইহা বলিয়া রাজনন্দন তাহার মুখচুম্বন করিয়া তাহার দীর্ঘকেশে হস্ত বুলাইতে লাগিলেন, প্রেম ভাবে আপন মস্তকটিও তাহার বক্ষস্থলে দিলেন, তাহাতে মানবীয় সুখ এবং অমর আত্মা পাইবার প্রত্যাশায় মৎস্যনারীর হৃদয়কমল একেবারে গুর গুর করিয়া উঠিল।

 সমীপবর্তী রাজার অধিকার মধ্যে গমন সময়ে বিস্তর ঘটা পূর্ব্বক জাহাজ খান প্রস্তুত হইলে রাজকুমার মৎস্যনারীকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন,