এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

(৬৩)

অরে আমার বোবা প্রিয়ে, তুমি সমুদ্রে যাইতে ভয় কর কি না? শুন প্রিয়ে সমুদ্র মধ্যে কখন কখন ঝড় উপস্থিত হয়, কখন ইহার জল স্থির ভাবে থাকে, ইহার গভীর স্থানের মধ্যে অত্যাশ্চর্য্য মৎস্য সকল বাস করে, যে ব্যক্তি ইহার জলে ডুবিয়া অধোভাগে গিয়াছে, তত্রস্থিত আশ্চর্য্য বস্তুর বিষয় সেই ভাল জানে; একথা শুনিয়া মৎস্যনারী অল্প অল্প হাস্য করিতে লাগিল, কেননা সমুদ্রের অধস্থিত বস্তু সকলের বিষয় সে যেমন জানে, আর কেহই তেমন জানে না।

 রাত্রিকালে শূন্যমার্গে শশধর উদিত হইয়া ছিলেন, জ্যোৎস্নায় চারিদিক দেদীপ্যমান, জাহাজস্থিত তাবল্লোকেই নিদ্রিত, কেবল মাজি হাইলটি ধরিয়া জাগ্রত ছিল, এমত সময়ে সে জাহাজের চাঁদনীর উপর উপবেশন করিয়া নির্ম্মল জলের মধ্যদিয়া দেখিতে দেখিতে তাহর অনুভব হইল, ঐ বুঝি পিতা মহাশয়ের অট্টালিকা হইবে, যে স্ত্রীলোকের মস্তকোপরি রৌপ্য মুকুট দেখিতেছি, তিনিই বুঝি আমার বৃদ্ধা পিতামহী, রাজবাটীর উপরিভাগে দণ্ডায়মানা হইয়া মনঃ সংযোগ করত, ঐ জাহাজ খানার প্রতি দৃষ্টি করিতেছেন, ক্ষণকাল বিলম্বে সে দেখিতে পাইল, যে ভগিনীরাও সমুদ্র জলের উপরিভাগে উঠিয়া এক