এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

(৬৪)

দৃষ্টে তাহার প্রতি নিরীক্ষণ করিতেছে, শোকেতে তাহারা অতিশয় ব্যাকুলা হইয়া আপনাদিগের শুভ্রবর্ণ হস্ত সকলকে মোড়া লাগাইতেছে। সে সঙ্কেত দ্বারা হাস্য বদনে তাহাদিগকে জানাইবার উদ্যোগ করিল আমি এখানে পরমসুখে উত্তমাবস্থায় আছি! এমত সময়ে জাহাজস্থিত একজন নাবিক আসিয়া পড়াতে তাহারা তরঙ্গের অধোভাগে নিমগ্ন হইয়া গেল, নাবিক মনে মনে স্থির করিল যে শ্বেতবর্ণ অবয়ব সকল আমি চক্ষে দেখিয়াছি বুঝি তাহা কেবল জলের ফেনাই হইবে।

 পরদিন প্রাতঃকালে জাহাজখান সেই মহাপরাক্রান্ত প্রতাপশালী রাজা মহাশয়ের সুশোভন রাজধানীর বন্দরে আসিয়া লাগিল। বিদেশীয় রাজার জাহাজ আসিয়া বন্দরে লাগিলে দামামার শব্দ ও ঘণ্টার ধ্বনি হয়, সিপাহীরাও নানা বর্ণের পরিচ্ছদ এবং মস্তকে টুপী পরিয়া বিদেশীয় রাজার সম্বর্দ্ধনা করিতে আইসে। রাজকুমারের আগমনে সন্নিহিত রাজা মহাশয় অনেক ঘটাতে এ সকল বিষয় সমাধা করিলেন, প্রতি দিন নূতন নূতন সুখ সেব্য খাদ্য সামগ্রী পাঠাইয়া দেন, রাজধানীতে আহ্লাদের আর পরিসীমা নাই, কোন স্থানে নর্ত্তকীরা নানা প্রকার অঙ্গ ভঙ্গি দ্বারা সুচারুরূপে নৃত্য করিয়া দর্শকদিগের মনো-