এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

(৬৫)

রঞ্জন করিতেছে, কোন স্থানে গায়কেরা নানাবিধ রাগ রাগিনী এবং মূর্চ্ছনাদি দ্বারা স্বর শক্তি প্রকাশ করিয়া রাজ্যস্থিত তাবল্লোককেই হর্ষ প্রদান করিতেছে, প্রধান প্রধান আমীর লোকদিগের সহিত মহারাজ রাজনন্দনকে মহোৎসবে বিবিধ খাদ্য সামগ্রী আয়োজন করিয়া নিত্য নিত্য নূতন নূতন ভোজ্য প্রদান করেন। কিন্তু লোক মুখে রাজকুমার শুনিয়াছিলেন, যে রাজকন্যা এখানে নাই, এই স্থানের অনতিদূরে একটা পবিত্র মন্দির আছে, যে যে রাজকন্যা সেখানে গিয়া বিদ্যাভ্যাস করে, তাহারা রাণীর উপযুক্ত তাবৎগুণেই ভূষিতা হইয়া থাকে, একারণ এতদ্দেশীয় রাজা সেই স্থানেই আপন কন্যা প্রেরণ করিয়াছেন, অত্যল্প দিনের মধ্যে তিনি রাজভবনে আসিবেন। সভামধ্যে বসিয়া রাজকুমার এই সকল কথা মনে মনে আন্দোলন করিতে ছিলেন; ইতি মধ্যে প্রহরীগণ করযোড়ে রাজার সম্মুখে দণ্ডায়মান হইয়া কহিল, মহারাজ! সর্ব্ব বিদ্যায় পারদর্শিনী হইয়া আপনার কন্যা বাটীতে আসিয়াছেন।

 সন্ধ্যার সময়ে রাজনন্দন আপন সহচরীকে সঙ্গে লইয়া রাজতনয়াকে দেখিবার নিমিত্ত রাজার অন্তঃপুরে গমন করিলেন, মৎস্যনারী তাঁহার রূপ লাবণ্য দর্শন করিয়া অত্যাশ্চর্য্যা হইল,