এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

(৬৭)

হইবে। এই কথাতে মৎস্যনারী তাঁহার হস্ত চুম্বন করিল, কিন্তু তাহার প্রাণে কিছু সুখ নাই, মনোদুঃখে বক্ষঃস্থলটা ফাটিয়া যাইতেছে, যে রাত্রিতে রাজকুমার বিবাহ করিবেন, তৎপর দিন প্রাতঃকালে তাহাকে কালগ্রাসে পতিত হইয়া সমুদ্র ফেনায় লীনা হইতে হইবে।

 এ দিকে রাজকন্যার বিবাহোপলক্ষে রাজধানীর স্থানে স্থানে বাদ্য বাজিতে লাগিল। পাত্রবাহক ভাটেরা আসিয়া সর্ব্বত্র ঘোষণা করিয়া দিল, অমুক দিনে অমুক সময়ে রাজনন্দিনীর শুভ বিবাহ হইবে, বরপাত্র রাজবাটীতে শুভাগমন করিয়াছেন, অতএব হে রাজ্যস্থ লোক সকল মহারাজ কন্যাকে পাত্রস্থা করণ কালীন আপনাদিগকে আহ্বান করিয়াছেন, পত্র দ্বারা নিমন্ত্রণ করিলাম। মহারাজ যৌতুক স্বরূপ রাজকুমারকে কত ধন দিলেন, বাহুল্য ভয়ে তাহা লিখিতে পারিলাম না। রূপার প্রদীপে তৈল জ্বালাইয়া কুল পুরোহিত মহাশয় মন্ত্র পাঠ পূর্ব্বক বর কন্যার হস্তে হস্ত সংমিলিত করাইয়া দিলেন। মৎস্যনারী স্বর্ণাভরণ এবং রেশমী বস্ত্র পরিধান করিয়া নবোঢ়ার রক্ত বস্ত্রের অঞ্চলটি ধরিয়া চলিল; কিন্তু বাদ্যের শব্দ তাহার কর্ণকুহরে প্রবেশ করিল না, বিবাহের যে এ ঘটা চক্ষুরুন্মীলন করিয়া তাহাও সে দৃষ্টি করিল