এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

(৬৯)

কবার মনের সাধে নৃত্য করিয়া দর্শকদিগের মনোরঞ্জন করি। এই ভাবিয়া সে নৃত্য দ্বারা সকলেরই মন হরণ করিল, উপস্থিত ব্যক্তি দিগের আহ্লাদের আর পরিসীমা নাই, সকলেই এক বাক্য হইয়া স্বীকার করিল, আমরা এমন মনোহর নৃত্য পূর্ব্বে কখন দর্শন করি নাই। তীক্ষ্ণ ছুরিকা পদে ফুটিলে যেরূপ ব্যথা হয়, তাহার কোমল পদেও সেরূপ বেদনা হইয়াছিল, কিন্তু সে ঐ যাতনাকে যাতনা বোধ করিল না, মনের যাতনাই বড় যাতনা, তাহা তীক্ষ্ণ ছুরিকা হইতেও অধিক ক্লেশকর হয়। সে মনে মনে নিশ্চয় জানিত যাহার জন্য জ্ঞাতি, কুটুম্ব, গৃহ প্রভৃতি সকলই পরিত্যাগ করিয়াছি, যাহার জন্য আমার মধুর স্বরটী জন্মের মত গিয়াছে, যাহার জন্য প্রতিদিন এমন অসহ্য যন্ত্রণা ভোগ করিতেছি, যিনি আমার হৃদয়ের ধন হইয়াও এ সকল বিষয়ের কিছুই জানেন না, রজনী প্রভাতে আর আমি তাহাকে দেখিতে পাইব না। তাঁহার সঙ্গে সহবাস করিয়া যে বায়ু আমি নিশ্বাস প্রশ্বাস দ্বারা ধারণ করিতেছি, যে সমুদ্রের প্রতি আমি সর্ব্বদা অবলোকন করি, যে নক্ষত্র আকাশে দেখিলে আমি অতিশয় পুলকিত হই, রজনীর শেষে সে সকলেরই শেষ হইবে। এই রূপ চিন্তায় দুঃখিনী