এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

(৭০)

বালা মনে মনে কতই শোক করিতেছে, যথা এরাত্রি আমার পক্ষে কালরাত্রি স্বরূপ, আমার আত্মা নাই যে পুনর্জীবন প্রাপ্ত হইবার কোন ভরসা আছে, এবং পরমাত্মা পাইবারও কোন আশা নাই, অতএব আমার জন্য বুঝি অনন্তকাল রাত্রি অপেক্ষা করিয়া রহিয়াছে। ক্রমে ক্রমে রজনী ঘোরা হইয়া দুই প্রহর পর্য্যন্ত হইল, তখনও জাহাজস্থিত লোক সকলে আমোদ প্রমোদ করিতেছে, মৎস্যনারী মৃত্যু চিন্তাতে ব্যাকুলা থাকিয়াও মনে মনে ইচ্ছা করিল, আর কিছুকাল এই রূপ হাস্য এবং নৃত্য করিয়া রাত্রি যাপন করি, কিন্তু রাজকুমার আপন প্রাণেশ্বরী সেই নবোঢ়া বালার মুখ চুম্বন করিলে তিনিও অঙ্গ ভঙ্গিতে তাঁহার কন্দর্পানল জাগরূক করিয়াদিলেন এবং পরস্পর হাত ধরিয়া তাম্বুর অধোভাগে যে অপূর্ব্ব শয্যা প্রস্তুত হইয়াছিল তাহাতে শয়ন করিতে গেলেন।

 জাহাজস্থিত তাবল্লোকেই নিদ্রিত, প্রাণিমাত্রেরও শব্দ শুনা যায় না। কেবল অর্ণবযান সোজা পথে যাইবে কি না এজন্য প্রধান মাজি হাইল ধরিয়া দণ্ডায়মান ছিল, মৎস্যনারী ইহার এক ধারে হেলানদিয়া পূর্ব্বদিকের প্রতি নিরীক্ষণ করিতে লাগিল, কতক্ষণে উহা রক্তিমবর্ণ হইয়া রাত্রি প্রভাত করিবে। কেননা সে জানিত দিবাকরের