এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

(৭১)

প্রথম দীপ্তি আমার জীবন দীপ্তি একেবারে বিনাশ করিবে। কিয়ৎক্ষণপরে সে দেখিতে পাইল যে তাহার ভগিনীরা তরঙ্গ হইতে বহির্গত হইয়া জলোপরি ভাসমান হইয়াছে। আপনি ভাবিয়া ভাবিয়া যেরূপ পাংশুবর্ণ হইয়াছে, তাহাদিগকেও সেইরূপ পাংশুবর্ণ দেখিল, তাহাদের মস্তক স্থিত যে দীর্ঘ কেশ সকল বায়ুভরে প্রবাহিত হইত আর তাহা দেখিতে পাওয়া যায় না, সকলই কাটা গিয়াছে।

 তাহারা বলিল, ভগিনী! তুমি আমাদের মস্তকের প্রতি দৃষ্টি কর কি অদ্যরাত্রি তুমি যেন নিদারুণ মৃত্যুর হস্তে পতিত না হও, এই সাহায্য পাইবার জন্য আমরা ডাকিনীকে তাহা দিয়াছি, এই দেখ তৎপরিবর্ত্তে ডাকিনী আমাদিগকে এক খান তীক্ষ্ণ ছুরিকা দিয়াছেন। সম্প্রতি ভগিনী! আমরা যে কথা বলি তাহা মনদিয়া শুন, সূর্য্যোদয় হইবার পূর্ব্বে এই ছুরিকা হস্তে লইয়া রাজকুমারের হৃদয় কমল বিদীর্ণ করিয়া ফেল, তাহার উষ্ণরক্ত তোমার চরণে ছিটিয়া লাগিলেই তাহা সংযোজিত হইয়া পূর্ব্ববৎ তোমার মৎস্যলাঙ্গূল হইবে, তাহা হইলেই তুমি পুনর্ব্বার মৎস্যনারী হইয়া আমাদের নিকট আসিতে পারিবে, এবং অচেতন লবণ সমুদ্রের ফেনা হইবার পূর্ব্বে আর