এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

(৭২)

তিন শত বৎসর আমাদের সঙ্গে সুখে কাল যাপন করিবে। অপর দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছাড়িয়া তাহারা বলিতে লাগিল, ভগিনী! অধিকক্ষণ বিলম্ব করিবার আবশ্যক নাই, শীঘ্র যাও, শীঘ্র যাও, সূর্য্যোদয় হইবার পূর্ব্বে তুমিই হউক, নাহয় রাজপুত্রই হউক, দুইজনের একজনকে অবশ্য মরিতে হইবে। দেখ তোমার জন্য ডাকিনী আমাদের সুন্দর কেশগুলীন যেরূপ কাঁচি দ্বারা কাটিয়া লইয়াছে, বৃদ্ধা পিতামহীরও ঐ দশা, তিনি তোমার নিমিত্তে ভাবিয়া২ একেবারে জীর্ণা এবং শীর্ণা হইয়া পড়াতে তাঁহার মাথার পক্বকেশ সকল উঠিয়া গিয়াছে। অধিক কথায় আবশ্যক নাই, দেখ ভগিনী! আকাশ মণ্ডলে রক্তিমবর্ণের রেখা গুলীন দৃশ্য হইতেছে, আর বিলম্ব করিও না, শীঘ্র যাও শীঘ্র যাও, অত্যল্প ক্ষণের মধ্যে সূর্য্যোদয় হইবে, তাহা হইলে আর তুমি প্রাণে বাঁচিবে না, যমরাজ একেবারে তোমায় গ্রাস করিয়া ফেলিবেন। এই কথা বলিতে বলিতে তাহারা পূর্ব্ববৎ দীর্ঘ নিশ্বাস পরিত্যাগ করিয়া তরঙ্গের অধোভাগে নিমগ্ন হইয়া গেল।

 মৎস্যনারী তাম্বুস্থিত লোহিত বর্ণের মশারি তুলিয়া দেখে, নবোঢ়া রাজকন্যা আপন মস্তকটি রাজকুমারের বক্ষঃস্থলে রাখিয়া সুখে নিদ্রা যাই-