এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

(৪)

অধোভাগটি মৎস্য পুচ্ছের ন্যায় ছিল।

 ঐ রাজ কুমারী গণ রাজ বাটীর বিস্তারিত কুঠরী সকলের মধ্যে সমস্ত দিনই ক্রীড়া করিয়া বেড়াইত, কেহ তাহাতে প্রতিবন্ধক হইত না। সেই কুঠুরীর প্রাচীর মধ্যে উত্তমোত্তম পুষ্প ছিল। আমরা যেমন জানালা খুলিয়া রাখিলে চড়াই পক্ষীরা আমাদিগের গৃহ মধ্যে প্রবেশ করে, সেই রূপ মৎস্যেরাও প্রবাল নির্ম্মিত দ্বার দিয়া তাহাদের গৃহ মধ্যে সন্তরণ করিয়া বেড়াইত। চড়াই পক্ষীগণ আমাদিগের ঘরের ভিতরে প্রবেশ করত যেরূপ চাউল ধান্য প্রভৃতি শস্য আহার করিয়া পলায়, নিকটে আইসে না। মৎস্যেরা সেরূপ করিত না, তাহারা ঠিক সোজা রাজতনয়া দিগের ক্রোড় পর্য্যন্ত গমন করিয়া তাহাদের হস্ত মধ্যে যে সকল খাদ্য সামগ্রী থাকিত, তাহাই ভক্ষণ করিত। রাজ কন্যারা তাহাদের পৃষ্ঠ দেশে হস্ত বুলাইয়া দিলেও তাহারা কিছু ভয় পাইত না।

 রাজ বাটীর সম্মুখ ভাগেই একটা প্রকাণ্ড উদ্যান ছিল, তন্মধ্যে লাল এবং নীলবর্ণের গাছ ছিল, তাহাতে যে সকল ফল ফলে, তাহা স্বর্ণবৎ অর্থাৎ কাঁচা হরিদ্রা বর্ণ, ঝক্ মক্ করিয়া থাকে। মুকুল গুলীন অগ্নি স্ফুলিঙ্গের ন্যায় দেদীপ্যমান,