পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিন্দুজাতির ষোগবল ও হরিদাস যোগী । ৪৭ তিন চারি দিনের মধ্যে যবের অঙ্কুর বাহির হইয়াঁগেল । মাসাধিক অতীত হইলে গাছ গুলি বিলক্ষণ বড় হইয়া বায়ু ভরে তরঙ্গায়িত হইতে লাগিল । উনচত্বারিংশ দিবসে রাজনৈর্তিক কৰ্ম্মচারী ওয়েড সাহেব কতকগুলি ইংরেজ সৈন্য লইয়া লাট সাহেবের আদেশ ক্রমে মহারাজের সহিত সাক্ষাৎ করিতে আসিলেন । কথাবার্তা শেষ হইয়া গেলে মহারাজ সাজিজুদিনের দ্বারা ওয়েড সাহেবকে সমস্ত গল্পট শুনাইলেন। পরদিন প্রাতঃকালে সন্ন্যাসী উঠিবেন শুনিয়া সাহেবেরাও চলিয়া না গিয়া মহারাজের অতিথি হইয়া রহিলেন । প্রাতঃকাল উপস্থিত হইল । বারদ্বারীর উদ্যান লোকাকীর্ণ হইতে লাগিল । রণজিৎ সিংহ ও তাহার অন্যান্ত আত্মীয় বন্ধু এবং প্রধান প্রধান কৰ্ম্ম চারিগণ, কাপ্তেন ওয়েড, ডাক্তার ম্যাকৃগ্রেগর, ডাক্তার মরে, জেনারল ভেঞ্চুরা ও প্রায় চারি শত ইংরাজ সৈন্ত বারদ্বারীর সম্মুখে উপস্থিত। বলরাম মিশ্র কার্য্যাধ্যক্ষ, তিনি বারদ্বারীর নূতন প্রাচীর ভাঙ্গাইলেন । সমাধি-স্থান দৃষ্টিগোচর হইল । যবের বড় বড় ঝাড় বাধিয়া গিয়াছে। মাট খুড়িয়া সিন্ধুক বাহির করা হইল । রণজিৎ সিংহ চাবি দিলেন । বলরাম মিশ্রও মোহর ভাঙ্গিয়া সিন্ধুক খুলিয়া দেখিলেন, ভিতরে হরিদাস বস্ত্রাবৃত হইয়া ষোগাসনে বসিয়া আছেন । তাহাকে যে ভাবে রাখা হইয়া ছিল, তিনি ঠিক সেই ভাবেই বসিয়া আছেন । শিষ্যেরা হরিদাসের যন্ত্র খুলিয়া ফেলিয়া দেখিল, হরিদাসের সংজ্ঞা নাই । রেসিডেন্ট সার্জন ম্যাকৃগ্রেগর ও ডাক্তার মরে উভয়েই সন্ন্যাসীর দেহ পরীক্ষা করিয়া দেখিলেন, নাড়ী নিশ্চল ও হৃদ পিও নিষ্কম্প । শিষ্যেরা তালু হইতে জিহ্বা বাহির করিয়া