পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিন্দুজাতির যোগবল ও হরিদাস যোগী । ৪৯ দুই হাজার টাকার মূল্যের এক খানি উৎকৃষ্ট শাল পুরস্কার দিলেন । হরিদাসের অদ্ভুত ক্ষমতার কথা শুনিলে অন্তরাত্মা শুকাইঞ্জ যায় । তিনি জলের উপর দিয়া যথেচ্ছ গমনাগমন ও চক্ষু মুদিয়া পুস্তক পাঠ করিতে পারিতেন । একবার বর্ষাকাল উপস্থিত । রাবী নদী প্রবলবেগে প্রবাহিত হইতেছে । তাহার স্রোত এরূপ প্রবল যে, এক গাছি তৃণ ফেলিয়া দিলে বোধ হয় তাহ শতখণ্ড হইয়া যায়। সাধু সেই স্রোত অতিক্রম করিয়া পদব্ৰজে নদী পা হইলেন । মহারাজ রণজিৎ সিংহ এবং কয়েক জন সাহেব ইহা স্বচক্ষে দেথিয় ছিলেন। ১৮৩৪ সালে হরিদাস মাজমীরে গিয়া পিয়ার সাহেবের সহিত সাক্ষাৎ করিয়া কহেন “আমি জলের উপর হাটিয়া বেড়াইতে পারি, এবং চক্ষু বাধিয়া দিলে পুস্তকাদি পাঠ করিতে পারি।” স্পিয়ার সাহেব সাধুর কথা শুনিয়া হাসিয়া উঠিলেন। তখন হরিদাস তাহার সম্মুখে জলের উপর হাটয় বেড়াইতে লাগিলেন । তাহার পর মেড । সাহেবের অনুমতিক্রমে তাহার মুন্সী মুজাসিংহ বস্ত্র দ্বারা ধুর চক্ষু বাধিয়া দিলেন । হরিদাস ও এক খানি পুস্তকের সত্রে ছত্রে অঙ্গুলি দিয়া অবাধে তাহা পাঠ করিতে লাগিলেন । স্পিয়ার সাহেব ইহা দেখিয়া অবাকৃ হইধ্য রহিলেন । এরূপ অদ্ভুত ঘটনা প্রথমতঃ অসম্ভব বলিয়। বোধ হয় বটে, কিন্তু সম্প্রতি এইরূপ আর একটী কলিকাতায় দেখিতে পাওয়া গিয়াছিল। এই ঘটনাটী শুনিলে, হরিদাসের চক্ষু বাধিয়া পড়িতে পারিবার কথা সহজেই বিশ্বাস করা যায় । কলিকাতায় কোন ভদ্র মহিলার মূর্ছারোগ হইয়া (t