পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিন্দুজাতির যোগবল ও হরিদাস যোগী । ৫১ যে সমস্ত পূৰ্ব্বানুষ্ঠান করিতে হয় করুন। এবার আপনাকে দশ মাস কাল মৃত্তিকার ভিতর থাকিতে হইবে।” হরিদাসও মুক্তকষ্ঠে যে আজ্ঞ বলিয়া বাসায় চলিয়া গেলেন । অস্তর্ধে তি ও যোগের অন্তান্ত পূৰ্ব্বানুষ্ঠান করিতে প্রায় দশ বার দিন অতিবাহিত হইয় গেল । হরিদাস প্রস্তুত হইয়া মহারাজকে সংবাদ দিলেন । বেলা দুই প্রহর । হজুরিবাগ লোকাকীর্ণ হইতে লাগিল । স্বয়ং মহারাজ, প্রধান প্রধান সর্দার ও জেনারল ভেঞ্চুরী উদ্যানে উপস্থিত হইলেন । কিন্তু কোন কারণ বশতঃ ওয়েড সাহেব তখন ও অলিতে পারেন নাই । সমাধির সময় উপস্থিত হইল । হরিদাস পূর্বের মত তুলা ও মোম দিয়া চক্ষু, কর্ণ ও নাসিকা-রন্ধ বন্ধ করিলেন, এবং জিহ্বা উলটাইয়া মৃতবৎ হইয়া গেলেন। ভেঞ্চুরা যোগীর দেহ পরীক্ষা করিয়া দেখিলেন, মৃত্যুর মত র্তাহার সমস্ত লক্ষণ হইয়াছে । তখন তাহাকে একখানি বস্ত্র দ্বারা জড়াইয়া স্থানে স্থানে রণজিতের স্বনামের মোহর করা হইল। এবারেও হরিদাসকে একটা কাঠের সিন্ধুকের ভিতর পুরিয়া মৃত্তিকায় পুতিয়া রাখা হইয়াছিল । সমাধি স্থানের উপর একটী সঙ্কীর্ণ গুম্বজ নিৰ্মাণ করাইয়া দিয়া চতুৰ্দ্দিকে বিশ্বস্তু প্রহরী রাখিয়া দেওয়া হইল। মহারাজ প্রত্যহ প্রাতঃকালে তঞ্জামে চড়িয়া সমাধি-স্থান দেখিতে যাইতেন । পাছে হরিদাসের শিষ্যের প্রহরী দিগকে উৎকোচ দিয়া ও র্তাহাকে তুলিয়া আনিয়া পুনৰ্ব্বার উঠিবার পূর্ব দিন মৃত্তিকার ভিতর রাখিয়া জাইলে, এই সন্দেহ করিয়া মহারাজ সমাধি-মগ্ন সন্ন্যাসীকে দুই বার মৃত্তিক হইতে তুলিয়া দেখিয়া ছিলেন।