পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিন্দুজাতির যোগবল ও হরিদাস যোগী । ৫৫ সিল মোহর লাগান থাকিবে । গৃহের বহিদ্বার ইষ্টক দিয়া গাথাইয়া দিব, এবং অষ্টপ্রহর আমাদের নিজের প্রহরী চৌকী দিয়া বেড়াইবে ”। হরিদাস বলিলেন, "প্রত্যেক কুলুপের দুইটী করিয়া চাবি থাকা চাই । এক একটী চাবি আপনাদের নিকট থাকিবে ; আর এক একটা আমার শিষ্য দিগের নিকট থাকিবে ; এবং আপনার এখানে যবন প্রহরী রাখিতে পাfরবেন ন৷ ” এই সকল কথা শুনিয়া সাহেবের অত্যন্ত বিরক্ত হইয়া উঠিলেন । হরিদাসও তাহাদিগকে গালাগালি দিয়া বলিতে লাগিলেন “তোমর। ফিরিঙ্গী, নাস্তিকের চূড়ান্ত । ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম কিছুই মান না। লোকের কাছে আমাকে অপদস্থ করিবার জন্য তোমরা লাহোরে অসিয়াছ । কিন্তু এমন আশা করি ও না যে, তোমাদের সাধ পূর্ণ হইবে । লোক সমাজে আমার যে প্রতিষ্ঠা জন্মিয়াছে, তাহ আর ঘুচিবার নয়” । অস্বরন সাহেব হরিদাসকে অনেক সান্ত না করিলেন, কিন্তু তিনি তাহার কথায় কর্ণপাত করিলেন ন। অগত্য সাহেবের আপন আপন বাসায় ফিরিয়া আসিলেন । মহারাজ রণজিৎ সিংহ এই সকল কথা শুনিয়া অত্যন্ত লজ্জিত হইলেন । তিনি সাধুকে ডাকাইয়। বলিলেন, “আপনার কাজ ভল হয় নাই। আপনি যদি সমাধিতে না বসেন, তাহ হইলে লোকে আপনাকে প্রতারক বলিয়া নিন্দ করিবে "। হরিদাস কহিলেন “মহারাজ ! সমাধিধারণ আমার পক্ষে তুচ্ছ কৰ্ম্ম । সুখের নিদ্রা ভিন্ন ইহা আর কিছুই নহে। আপনি অনুরোধ করিতেছেন, সেজন্য আমি প্রতিজ্ঞা করিতেছি, কল্য প্রভাতে সমাধিত্বে