পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাহাঙ্গীর বfদসাহের দরবার । * & বয়ঃক্রম অনুসারে ৪৮টা তোপধ্বনি করিয়া তাহার সন্মান রক্ষা করিল। কি শুভক্ষণেই স্যার টমাস রো ভারতবর্ষে পদার্পণ করিয়া ছিলেন । অধিক কি, তিনিই এদেশে ইংরাজ জাতির সৌভাগ্য-সঞ্চারের প্রধান হেতু । 를, উচ্চপদস্থ মোগল কৰ্ম্মচারিগণ সুরাটে ইংরাজদিগের নিকট রে সাহেবের পরিচয় পাইয় তাহার যথেষ্ট সম্মানন। করিলেন । কিন্তু এই রূপে সম্মানিত হইলেও তিনি একটী বিষয়ে অত্যন্ত মনঃপীড় পাইয়া ছিলেন । তৎকালে এদেশে যে সকল বৈদেশিক জাতি যাহা কিছু আনিয়া নামাইতেন, তাহ মোগল সম্রাটের ক্ষমতা-প্রাপ্ত কৰ্ম্মচারিগণ সন্দেহ করিয়া খুলিয়। দেখিতেন । তদনুসারে আগন্তুক রে সাহেব ও তদীয় অনুচর বর্গের দ্রব্য-সামগ্ৰী একটা একটা করিয়া খুলিয়া দেখা হইল। সম্রাট জাহাঙ্গীরের জন্য বিলাত হইতে যে সকল উপহার সামগ্ৰী অান কইয়া ছিল, তাহাও তাহারা খুলিয়া দেখিতে কুষ্ঠিত হইলেন না । রো সাহেব অনেক আপত্তি প্রকাশ করিলেন, কিন্তু তাহা গ্রাহ্য হইল না । তখন তিনি আপনাকে নিরুপায় দেখিয় তাহার দ্রব্য সামগ্রী খুলিয়া দেখাইলেন । সুরাটে প্রথম পদার্পণ করিবার দিন রে বড় কষ্টে পড়িয়া ছিলেন । সুরাটে জনৈক আর্মিনিয়াবাসীর এক খানি মদের দোকান ছিল । রোর এক জন রন্ধনকারী ইংরাজ ভূত্য সুরাটে নামিয়াই মদের চেষ্টায় বাহির হইল। পথিমধ্যে ঐ দোকান খানি দেখিতে পাইয় প্রচুর পরিমাণে মদ্যপান করিয়া চতুৰ্দ্দিকে অত্যাচার করিয়া বেড়াইতে লাগিল। ঘঠন ক্রমে সুরাটের নবাবের ভ্রাতা,অশ্বারোহণ করিয়া নগর পর্য্যবেক্ষণ