পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাহাঙ্গীর বাদসাহের দরবার । ৬৯’ সম্মুখে দেখিতে পাইলেন। দেখিলেন, সভাস্থলের ভিতর কুমার বাহাইর বহু-মূল্য রত্ন-বিভূষিত একখানি অত্যুচ্চ সিংহসনে বসিয়া আছেন। তাহার চতুর্দিকে পদমৰ্য্যাদা অনুসারে সৰ্ব্ব প্রধান অমাত্য ও অন্যান্য সন্ত্রাস্ত ওমরাহগণ জান্থ পাতিয়া বদ্ধ-কর-পুটে উপবিষ্ট । কুমারের অদূরে সুবেশপরিধায়ী প্রহরিগণ নিষ্কাশিত অসিহস্তে দণ্ডায়মান । উৰ্দ্ধদেশে মণি মুক্তা-খচিত উজ্জ্বল চন্দ্ৰাতপ লম্বমান হইতেছে। অধোভাগে স্বর্ণ, রৌপ্য ও হীরক বিরাজিত আস্তরণ গৃহতলের শোভ সম্বন্ধন করিতেছে । সম্মুখে রাজকুমারগণ হীরকাদি মণি মালার সুসজ্জীভূত হইয়া পিতার রাজকাৰ্য্য পরিদর্শন করিতেছেন । বাস্তবিক, মোগল বাদসাহদিগের বিলাস-ক্ষেত্র দিল্লী ও আগর, অতুল ঐশ্বর্ষ্যে একদিন অমরাবতী হইয়া উঠিয়া ছিল । এই সমস্ত অদ্ভুত ব্যাপার দেখিয় রাজদূত বিস্ময়াবিষ্ট হইলেন । রে সাহেব দরবারে উপস্থিত হইলে কোতয়াল তাহাকে প্রাচ্যপ্রথ অনুসারে ভূমিতে লুঠিয়া সেলাম করিতে বলিলেন ; কিন্তু তিনি রাজদূত, ও এরূপ করা তাহার অনভ্যস্ত বলিয় তাহাতে তিনি স্বীকৃত হইলেন না । অনস্তর সিংহ। সনের তিন ধাপ নিম্নে থাকিয়া তিনি স্বদেশীয় পদ্ধতি ক্রমে একটু নত হইয়া কুমারের সন্মান রক্ষা করিলেন, এবং আরও বলিলেন “আপনার পিতা ভারতের সম্রাট ; আমি তাহার নিকট ইংলণ্ডাধিপতির প্রেরিত দূত।” সভাসদবর্গ মনে করিয়া ছিলেন যে, কুমার তাহার উপর ক্রোধান্বিত হইবেন । কিন্তু তিনি তাহা না হইয়া বরং তাহার প্রতি অত্যন্ত সন্তুষ্ট হইয়া তাহাকে পুনৰ্ব্বার সেলাম করিলেন। পারবেজ