পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাহাঙ্গীর বাদলাহের দরবার | ༠༽ ༠༽ প্রবেশ করিয়া কয়েক জন ভূত্যকে টানিতে অনুমতি দিলেন । সেই দিন তিনি সন্ধ্যাকালে কয়েক জন স্বীয় প্রধান কর্মচারীকে নিমন্ত্রণ করেন । রাত্ৰি ১০টা বাজিলে তাহার ইচ্ছা হইৰ যে তিনি রাজা জেম্‌সের প্রদত্ত পরিচ্ছদ ও তরবারি লইয়া একবার আপনাকে সুসজ্জিত করিবেন । তখন রো সাহেব নিজগৃহে নিদ্র! যাইতে ছিলেন । হঠাৎ সম্রাট-প্রেরিত লোক আসিয়াছে শুনিয়া তিনিও তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিয়া জানিলেন যে সম্রাট তাহাকে ডাকিয়া পঠাইয়াছেন। রে সাহেব জনৈক সহচর সঙ্গে করিয়া লইয়া গেলেন ; এবং সম্রাটকে বিলাতি পাষাক পরাইয়া দিলে তিনিও এদিক ওদিক করিয়া বেড়াইতে লাগিলেন । সাহেব-প্রদত্ত উপহার দ্রব্য গুলি তাহার মনে লাগিয়াছিল বটে, কিন্তু তিনি কোনরূপ উৎকৃষ্ট ও মহামূল্য মণিমুক্ত না পাইয়া কিছু দুঃখিত হইয়াছিলেন। সম্রাট জানিতেন ন যে,র্তাহার ভারতভূমি যেরূপ রত্ন-প্ৰসবিনী, পৃথিবীর আর কোন দেশ সেরূপ নহে । রো সাহেব বাণিজ্যে সুবিধা করিবার জন্ত সম্রাটের সহিত প্রত্যহ সাক্ষাৎ করিতেন, কিন্তু সম্রাট র্তাহার সহিত বাণিজ্য সম্বন্ধে কোন কথা ন কহিয়া কেবল উপহার সামগ্রীর কথা কহিতেন । তিনি এক দিন রে সাহেবকে বলিলেন, “আপনার দেশে উত্তম ঘোটক যথেষ্ট পাওয়া যায়। তবে আপনি আমার জন্ত ইহা আনেন নাই কেন ?" রাজদূত কহিলেন "মহাশয় ! বিলাত হইতে এদেশে ঘোটক আন| অসম্ভব। স্থলপথে আনিতে গেলে তুরুস্ক ও পারস্যের ভিতর দিয়া জানিতে হইবে ; কিন্তু সেখানে আজ কাল ভয়ঙ্কর যুদ্ধ চলিতেছে। জলপথে আনাও বড় দুক্ষর ; কারণ উত্তমাশ