পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯e প্রবন্ধ পাঠ । জাহানারার হন্তে ধরিয়া বলিলেন,—“ভগিনি । সে কি ! আমি কি কেহই নই? যদি আসিয়াছ, ভাই বলিয়৷ একবার ড তত্ত্ব লইতে হয় । এত দিন বিদেশে ছিলাম বলিয়া কি ভুলিয়া গিয়াছ ? পিতা এত পীড়িত হইয়াছিলেন, লোক পাঠাইমাও ত সংবাদ দেওয়া উচিত ছিল”। এইরূপ তোষামোদ করিয়া তিনি জাহানারাকে আপনার তাম্বুতে লইয়া গেলেন। লইয়া গিয়া পুনৰ্ব্বার বলিলেন,—“ভগিনি! বলিব কি লোকের ব্যবহার দেখিয়া সংসারে আমার বিতৃষ্ণ জন্মিয়াছে। তুমি পিতার নিকট আমার এই সামুনয় নিবেদন জানাইবে ; আমি একবার তাহার শ্ৰী-পাদ-পদ্ম দর্শন করিয়া সংসার পরিত্যাগ করিব । অতএব আর বিলম্বে কাজ নাই, পরশ্ব র্তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিতে যাইব ।” জাহানার। চলিয়া গেলে অণরঙ্গজীব পিতাকে কারারুদ্ধ করিবার চেষ্টায় রছিলেন। শাজেহানও বুঝিতে পারিলেন যে, শঠের এত ভক্তি সুলক্ষণ নয় । তিনি দারাকে লিখিয়া পাঠাইলেন যে,-“দুই দিন পরে আরঙ্গজীব আমার নিকট আসিয়া শরণ লইবে । মুরাদের প্রতি সে বিরক্ত হইয়াছে । যাহা হউক, খলকে বিশ্বাস নাই। তুমি সৈন্ত সামস্ত লইয়। শীঘ্র আগরায় আসিবে । এখন আরঙ্গজীবকে বন্দী করাই কর্তব্য’ । দারা তখন দিল্লীতে ছিলেন । সম্রাট রাত্রি তুই প্রহরের সময় মহিরিদিল নামক জনৈক বিশ্বস্ত ভূত্যের হস্তে একখানি পত্র দিয়া বিদায় করিলেন । সেই খানে শায়াস্তা খাঁর জনৈক গুপ্ত চর উপস্থিত ছিল । লে ব্যক্তি জাসিয়া পত্রের কথা ব্যক্ত করিয়া